জেলা প্রতিনিধি, ঝিনাইদহ: জেলার কালীগঞ্জে বন্ধের দিনে রায়গ্রাম বাণিকান্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দুইটি মেহগনি গাছ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানের প্রধানের বিরুদ্ধে।
বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের দরজা তৈরির জন্য গাছ দুইটি বিক্রি করেন প্রধান শিক্ষক খাইরুল ইসলাম মিলন।
নিয়মানুযায়ী, বিদ্যালয়ের কোনো গাছ বিক্রি করতে হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) অবহিত করা। পরে নিলামে সেই গাছ বিক্রি ও বিক্রির টাকা সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসাব নম্বরে রাখার কথা। কিন্তু এসব নিয়মনীতি মানছেন না প্রধান শিক্ষক মিলন।
কয়েক বছর আগে বিদ্যালয়ের প্রাচীর নির্মাণের কথা বলে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ বিক্রয় করেছিলেন প্রধান শিক্ষক মিলন। তবে সেই প্রাচীরের চার ভাগের এক ভাগ নির্মাণ করেছেন তিনি।
গত শুক্রবার সাপ্তাহিক বন্ধের দিন বিদ্যালয়ের দুইটি মেহগনি গাছ ২৬ হাজার টাকায় বিক্রি করেন প্রধান শিক্ষক মিলন। গাছটি কাটা অবস্থায় বিদ্যালয়টির পূর্ব দিকের একমাত্র প্রাচীরের পাশে পড়ে আছে।
বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর বাবা জানান, যেখানে বিদ্যালয়ের প্রাচীর নেই, সেখানে গেট কী হবে? কয়েক বছর আগে মিলন স্যার প্রাচীর নির্মাণ করবেন বলে অনেক গাছ কেটেছেন, অথচ এখনো সেই প্রাচীর হলো না।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খাইরুল ইসলাম মিলন বলেন, হ্যাঁ, দুইটি গাছ কাটা হয়েছে। আপনি ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের কাছে শুনেন, তিনি ভালো বলতে পারবেন।
কালীগঞ্জ ইউএনও ইসরাত জাহান বলেন, বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রির ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। তবে খোঁজ নিবো।
স্বাআলো/এস