বিয়ে না দেয়ায় চাঁদপুরে মা রানু বেগমকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে রাসেল খানের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নের ইছাপুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রানু বেগম ওই গ্রামের আতর খানের স্ত্রী।
নিহতের স্বামী আতর খান বলেন, আমার তিন মেয়ে ও দুই ছেলের মধ্যে রাসেল সবার ছোট। গত কয়েকদিন যাবৎ তাকে বিয়ে করানোর জন্য আমাদেরকে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে। সে আমাকেও মেরেছে। স্থানীয় একটি মাদরাসায় রান্নার কাজ করি। আমার ছেলে দুপুর ২টা ৪৯ মিনিটে আমাকে ফোন দিয়ে বলে তার মাকে কে যেনো ঘরে জবাই করে রাখছে। তখন আমি নিশ্চিত হয়েছি, আমার স্ত্রী তার সন্তানের হাতেই খুন হয়েছে। ফোন কেটে সাথে সাথে আমি বাড়িতে এসে দেখি আমার স্ত্রী রানু বেগমের মরদেহ বিছানায় পড়ে আছে। আমার ছেলে রাসেল পালিয়ে গেছে। পরে আমার ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এসে পুলিশকে খবর দেয়।
টিকটকে অন্তরঙ্গ ছবি পোস্ট করায় যশোরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হোসাইন আহমেদ রাজন শেখ বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছি। আমি জানতে পেরেছি, নিহতের পাঁচ সন্তানের মধ্যে রাসেল সবার ছোট। বড় ছেলে ফারুক গত প্রায় পাঁচ বছর যাবৎ ঢাকাতে থাকে। বাড়িতে বাবা-মায়ের খোঁজখবর রাখেন না। বাকি তিন মেয়ের বিয়ে হওয়াতে তারা স্বামীর বাড়িতে থাকে। রাসেল ফরিদগঞ্জ বাজারে একটি মুদি দোকানে শ্রমিকের কাজ করে। গত কয়েকদিন যাবৎ সে তার বাবা-মাকে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে তাকে বিয়ে করানোর জন্য। যদি তাকে বিয়ে না করায়, সে বাবা-মাকে খুন করে ফেলবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল থেকে রানু বেগমের গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করেছি। হত্যার শিকার রানু বেগমের স্বামী আতর খান ও তার মেয়ে শাহিনের বক্তব্য অনুযায়ী নিজের ছোট ছেলে রাসেল কর্তৃক হত্যার শিকার হয়েছেন তিনি। অভিযুক্ত রাসেল পলাতক রয়েছে, তাকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। এ বিষয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
স্বাআলো/এস