কালিগঞ্জে চেয়ারম্যানের চেয়ারে বসে অফিস করেন সচিব!

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঝিনাইদহের কালিগঞ্জ উপজেলার কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদে সচিব আফরোজা খাতুনের বিরুদ্ধে একচ্ছত্র ক্ষমতা ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।

তিনি প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী আইনের কোনো শৃঙ্খলাই মানেন না। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের চেয়ারে বসে বীরদর্পে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন।

ইউপি সদস্য, গ্রাম পুলিশ কাউকে পাত্তা দেন না। সাধারণ মানুষ সেবা নিতে গেলে দুর্ব্যবহারের শিকার হন। সেবা গ্রহিতাদের অভিযোগ ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন খান।

তিনি নিয়মিত অফিস করেন না। সেই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছেন সচিব আফরোজা খাতুন।

দেখা গেছে, কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদটি যশোর ও ঝিনাইদহ জেলার সীমান্তবর্তী ইউনিয়ন। চৌগাছা ও কালিগঞ্জ উপজেলার লাগোয়া। এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন খান কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ইউনিয়ন পরিষদটি পুরাতন একটি জরাজীর্ণ ভবনে পরিচালিত হচ্ছে। ওই ইউনিয়নে ইউনিয়ন ভূমি অফিসের আলাদা কোনো ভবন নেই। ইউনিয়ন পরিষদের ভবনের মধ্যে ভূমি অফিস তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে। এখানে সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আলাদা আলাদা ডেস্ক আছে। সবাই নিজ নিজ ডেস্কে বসে কাজ করেন। কিন্তু সচিব তার ডেস্কে বসেন না। তিনি চেয়ারম্যানের রুম ও তার ডেস্ককে নিজের ডেস্ক হিসেবে বীরদর্পে ব্যবহার করে যাচ্ছেন। এসব নিয়ে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী কথা তাদের দুর্ভোগের শেষ থাকে না। শুধু তাই নয় তার কাছে সেবা নিতে গেলে তিনি সাধারণ মানুষের সাথেও দুর্ব্যবহার করেন।

সানাউল ইসলাম নামে এক সেবা গ্রহিতা বলেন, তার ছেলের জন্মনিবন্ধন নেয়ার জন্য ইউনিয়ন পরিষদে গিয়েছিলেন তিনি। চেয়ারম্যানের রুমে যেয়ে দেখেন চেয়ারম্যানের চেয়ারে বসে আছেন সচিব। কোনো বিষয়ে কেউ বিস্তারিত জানতে গেলে দুর্ব্যবহার করেন তিনি।

আব্দুল আওয়াল নামে একজন সেবা গ্রহিতা বলেন, কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। সেই জন্য তিনি চেয়ারম্যানের চেয়ারে বসে অফিস করেন। আর চেয়ারম্যান তো নিয়মিত অফিসে আসেন না সেই জন্য সচিব ভাল মতো সুযোগ পাচ্ছেন।

সচিব আফরোজা খাতুন বলেন, চেয়ারম্যানের সাথে তার ভালো সর্ম্পক। চেয়ারম্যানের অনুমতি নিয়েই তিনি চেয়ারম্যানের চেয়ারে বসে অফিস করেন। কোনো সমস্যা হয় না।

চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন খান বলেন, তার ইউনিয়ন পরিষদে রুমের সংকট রয়েছে। সেই জন্য সচিবকে তার রুমে বসে অফিস করতে পারেন। ভুলক্রমে তার চেয়ারে বসে পড়েছেন। এটা তার ঠিক হয়নি। চেয়ারম্যানের চেয়ারে বসার অনুমতি তাকে দেয়া হয়নি।

ঝিনাইদহ স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ইয়ারুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে মন্তব্য করার কিছুই নেই। চেয়ারম্যান কেনো প্রতিবাদ করেন না। তারপরও বিষয়টি তিনি খোঁজ-খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।

স্বাআলো/এস

Share post:

সাবস্ক্রাইব

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

সর্বাধিক পঠিত

আপনার জন্য প্রস্তাবিত
Related

যশোরে মহান মে দিবস পালিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরে যথাযথ মর্যাদার মধ্য দিয়ে ১৩৮তম মহান...

যশোর সদর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী বিপুলের মনোনয়নপত্র জমা

নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী...

যশোর জেনারেল হাসপাতালে আগুন

নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোর জেনারেল হাসপাতালের চতুর্থ তলার শিশু ওয়ার্ডে...

বাগেরহাটে কীটনাশক পানে বৃদ্ধের মৃত্যু

আজাদুল হক, বাগেরহাট: জেলার মোল্লাহাট উপজেলায় মোসলেম মোল্লা (৭৫)...