সম্পাদকীয়: পরিবহন খাতে চাঁদাবাজির অভিযোগ নতুন নয়। সড়ক-মহাসড়কে পরিবহন নামাতে ও চালাতে হলে চাঁদা দিতে হয়। কোথাও কোথাও রীতিমতো রশিদ কেটে চাঁদা আদায় করা হয়। এ নিয়ে অতীতে গণমাধ্যমে অনেকবারই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
এখন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এক গবেষণায় জানা গেছে এই চাঁদাবাজির কথা।
‘ব্যক্তি মালিকানাধীন বাস পরিবহন ব্যবসায় শুদ্ধাচার’ শীর্ষক একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে টিআইবি।
প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, দেশে ব্যক্তি মালিকানাধীন বাস ও মিনিবাস থেকে বছরে এক হাজার ৫৯ কোটি টাকা চাঁদা আদায় করা হয়। চাঁদা কেবল বাস বা গণপরিবহনেই আদায় করা হয় না। চাঁদাবাজির এই অসুখ আরো গভীর। পণ্যবাহী পরিবহনেরও চাঁদা আদায় করা হয়। ছোট ছোট যানবাহনও হয় চাঁদাবাজির শিকার। ভুক্তভোগীরা এ নিয়ে বিভিন্ন সময় অভিযোগ করেছেন।
চাঁদা আদায়ের সঙ্গে খোদ মালিক-শ্রমিকদের নানান সংগঠনই জড়িত বলে জানা যায়। এর কারণ হচ্ছে, মালিক-শ্রমিকদের বড় একটি অংশই জড়িত। পরিবহন খাতে যে চাঁদাবাজি হয় তার টাকার ভাগ মালিক-শ্রমিক ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের অসাধু কর্তা ব্যক্তিরা পান। চাঁদাবাজির খেসারত নানানভাবে দিতে হয় দেশের মানুষকে। যাত্রীদের গুনতে হয় বাড়তি ভাড়া। আবার সড়কের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা যায় না।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা না হওয়ার বড় একটি কারণ হচ্ছে পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি। নিত্যপণ্যের দাম লাগামহীনভাবে বাড়ার পেছনেও এর দায় রয়েছে। পরিবহন খাতে চাঁদাবাজির এক দুষ্টচক্র গড়ে উঠেছে। এই দুষ্টচক্র ভাঙতে হবে। এছাড়া পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা ফেরানো সম্ভব নয়।
টিআইবি যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত করেছে সেটাকে মুখের কথায় উড়িয়ে না দিয়ে আমলে নিতে হবে।
স্বাআলো/এস