জেলা প্রতিনিধি, ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহ-১ আসনের নৌকার প্রার্থী আব্দুল হাইকে বিজয়ী ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) গেজেট স্থগিত করে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।
এ আদেশের ফলে আব্দুল হাইয়ের এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালনে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
এর আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনের নৌকার প্রার্থী আব্দুল হাইকে বিজয়ী ঘোষণা করা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) গেজেট স্থগিত করেন হাইকোর্ট। সেই আদেশের বিরুদ্ধে সকালে আবেদন করা হয়। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আব্দুল হাই এ আবেদন করেন। আর তার পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা।
গত ১ ফেব্রুয়ারি ফল প্রকাশের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. আব্দুল হাইকে বিজয়ী ঘোষণা করে ইসির গেজেট ২ মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান।
এর আগে ভোটগ্রহণ ও ভোট গণনায় অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগে ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য পদের গেজেট স্থগিত চেয়ে ইলেকশন পিটিশন দায়ের করেন ওই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম দুলাল। পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থীর আবেদনে বলা হয় কেন্দ্রভিত্তিক ফলে স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলামকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। কিন্তু আসনের সামগ্রিক ফলে নৌকার প্রার্থী আব্দুল হাইকে বিজয়ী ঘোষণা করে ঝিনাইদহের রিটার্নিং কর্মকর্তা। পরে ইসির ওই নির্বাচনী গেজেট স্থগিত করেন বিচারপতি আসাদুজ্জামানের আদালত।
গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের বেসরকারি ফলে ঝিনাইদহ-১ (শৈলকূপা) নৌকার প্রার্থী আব্দুল হাইকে বিজয়ী ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। ফল অনুযায়ী এ আসনে আব্দুল হাই পেয়েছেন ৯৪ হাজার ৩৭৯ ভোট। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম দুলাল (ট্রাক প্রতীক) পেয়েছেন ৮০ হাজার ৫৪৭ ভোট।
আসনের মোট ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ৬ হাজার ৩৩৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৫৩ হাজার ৫৭৭ জন, নারী ভোটার এক লাখ ৫২ হাজার ৭৫৯ জন। এখানে কেন্দ্রের সংখ্যা মোট ১১৭টি।
উল্লেখ্য, গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ৯ জানুয়ারি গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচিত এমপিরা ১০ জানুয়ারি শপথ নেন। ৩০ জানুয়ারি বসে সংসদের প্রথম অধিবেশন।
স্বাআলো/এস