সম্পাদকীয়: স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষা ও কৃষিখাতের ওপর গুরুত্বারোপ করে যশোরে অনুষ্ঠিত এক সভায় মতামত ব্যক্ত করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে ১৯ ফেব্রুয়রি জেলা প্রশাসকের অমিত্রাক্ষর সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
দেরিতে হলেও সত্যি যে, যশোরে অনুষ্ঠিত এ সভায় কয়েকটি অতি বাস্তব কথা তুলে ধরা হয়েছে। অতি সাধারণ শ্রেণির মানুষও দেশের কল্যাণে বাস্তব অনেক চিন্তা করেন। কিন্তু তাদের চিন্তার কথা নীতি নির্ধারকদের কান পর্যন্ত পৌছায় না। আর পৌছালেও চাষাভুষার ভাবনার প্রতি উন্নাসিকতা প্রকাশ করা হয়। যশোরে যে কথাগুলো আলাচনা করা হয়েছে তা সাধারণ মানুষের হৃদয় উৎসারিত ভাবনার প্রতিচ্ছবি। এ কথা সত্যি যে, বাংলাদেশকে একটি জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি এবং উদ্ভাবনী জাতি হিসেবে পরিচিত করতে স্মার্ট বাংলাদেশ যথেষ্ট ভূমিকা রাখবে। আগে স্মার্ট ভিলেজ গড়তে হবে।
গ্রামের ঐতিহ্য যে ফসল বা পণ্য রয়েছে সেটা ব্রান্ডিং করতে উদ্যোগ নিতে হবে। যার মাধ্যমে পণ্যটি সারাদেশের মানুষ অনলাইনের মাধ্যমে ক্রয় করতে পারে। বর্তমান সময়ের শিক্ষার্থীরা হতাশাগ্রস্ত। পড়াশোনা শেষ করে কাঙ্খিত কর্মসংস্থান না পেয়ে এমনটি সৃষ্টি হয়েছে। এ ক্ষেত্রে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, এম এম কলেজসহ জেলার বিভিন্ন উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার পাশাপাশি উদ্যোক্তা সৃষ্টি করার উদ্যোগ নিতে হবে। পাশাপাশি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক শিক্ষাকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতে হবে।
স্বাস্থ্য সেবার বিভিন্ন ভোগান্তি নিরসনে যশোর জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা আধুনিকায়ন করতে হবে। কৃষকদের পণ্যের
দাম সঠিক ও কৃষি সেবা বৃদ্ধি করতে কৃষকদের স্মার্ট আইডির আওতায় আনতে হবে। যশোরের সবজিসহ যেসব পণ্য বেশি করে উৎপাদন হয় ; সেই পণ্যকে ভোক্তাদের মাঝে পৌঁছে দিতে বা বাজারজাতকরণে ‘প্যাক হাউস’ গড়ে তুলতে হবে।
উন্নত দেশ গড়তে যশোর থেকে যে মতামত তুলে ধরা হয়েছে তা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসতে হবে। মফস্বলের শহরের মতামতকে অবহেলা করা যাবে না। দেশ ও জাতির উন্নয়নে প্রয়োজন নিস্বার্থ উদার মানসিকতা।
স্বাআলো/এস