ঢাকা অফিস: দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে ফায়ার স্টেশন তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের মেয়াদে সারা দেশের ফায়ার স্টেশনগুলোতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি যুক্ত হয়েছে। দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে ফায়ার স্টেশন তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলেও ফায়ার স্টেশন রাখার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ইলেকট্রনিকস সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ আয়োজিত ইন্টারন্যাশনাল ফায়ার সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি এক্সপো এর প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
রানা প্লাজা ও তাজরীন ফ্যাশন গার্মেন্টসে অগ্নি দুর্ঘটনার পর দেশের শিল্প-কারখানাগুলোয় অগ্নিঝুঁকি হ্রাস এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতের ওপর সরকার বিশেষ জোর দিয়েছে উল্লেখ করে সালমান এফ রহমান বলেন, এর গুরুত্ব অনুধাবন করে অগ্নি নিরাপত্তা ইস্যুতে সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছেন বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা। সরকার এবং বেসরকারি খাত একসাথে যেসব উদ্যোগ নেয়, সেগুলো সফলতা অর্জন করে। উদাহরণস্বরূপ, আজ বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব তৈরি পোশাক কারখানাগুলোর বেশির ভাগই বাংলাদেশের।
তিনি বলেন, সারা দেশে অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকার ব্যাপকভাবে কাজ করছে। বাংলাদেশে বিল্ডিং কোড তৈরির ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে। এখন আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে দেশেই অগ্নি নিরাপত্তা ও সুরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনের ওপর জোর দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ইলেকট্রনিকস সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি নিয়াজ আলী চিশতি বলেন, দেশের অর্থনীতির আকার যত বড় হচ্ছে, অগ্নিঝুঁকি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়টি ততটাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।
বাংলাদেশ যাতে রাজাকারের আস্তানায় পরিণত না হয়: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং টেকসই অবকাঠামো নির্মাণে ফায়ার সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অগ্নিঝুঁকি কমিয়ে এনে দেশে অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার এখন সময়ের দাবি।
অগ্নি নিরাপত্তাসহ যেকোনো দুর্যোগের ঝুঁকি ও ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা, অগ্নি নিরাপত্তা ও সুরক্ষা সরঞ্জামের সহজলভ্যতা নিশ্চিতকরণ এবং সবার মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তিন দিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। এই আয়োজনে বিশ্বের ৩০টি দেশের শতাধিক প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই প্রদর্শনী চলবে।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাইন উদ্দিন, বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান, ইসাবের সাধারণ সম্পাদক জাকির উদ্দিন আহমেদ ও ইসাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি এস এম শাহজাহান সাজু প্রমুখ।
স্বাআলো/এস