প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস: ৪ পুলিশ সদস্য আটক

প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে রাজশাহী ও দিনাজপুরের চার পুলিশ সদস্যকে আটক করা হয়েছে।

তাঁদের মধ্যে তিনজন পুলিশের কনস্টেবল এবং অন্যজন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই)।

শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) এ বিষয়ে রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানায় মামলা দায়েরের পর তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেফতারকৃত চারজন হলেন, এএসআই গোলাম রাব্বানী, কনস্টেবল আবদুর রহমান ও শাহরিয়ার পারভেজ শিমুল।

এর মধ্যে আবদুর রহমান ও শাহরিয়ার পারভেজ শিমুল রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) সদর দফতরে কর্মরত ছিলেন। এএসআই গোলাম রাব্বানীও আগে পুলিশ কনস্টেবল ছিলেন। তখন তিনি আরএমপিতেই ছিলেন। পরে পদোন্নতি পেয়ে এএসআই হন।

শাহরিয়ার পারভেজ শিমুলের বাড়ি রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায়, আবদুর রহমানের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ এবং গোলাম রাব্বানীর বাড়ি কোথায় তা জানা যায়নি। তাদের তিনজনকে শনিবার সন্ধ্যার পর আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া দিনাজপুরে গ্রেফতার হওয়া আরেক কনস্টেবলকে রাজশাহীতে আনা হচ্ছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

পরীক্ষার আগে পুলিশের এই সদস্যরা ১৫-২০ জন চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষার্থীকে পাস করিয়ে দেয়ার চুক্তি করেন। এ জন্য পরীক্ষার্থীদের প্রত্যেককে খুবই ছোট আকারের হেডফোন সরবরাহ করেন। এই হেডফোনের মাধ্যমে বাইরে থেকে পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নের সব উত্তর বলে দেয়ার কথা ছিলো। এ জন্য একেক পরীক্ষার্থীর সঙ্গে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার চুক্তি করা হয়েছিলো। পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেয়া হয়েছিলো চেক ও স্ট্যাম্প।

পুলিশের অভিযানে কিছু স্ট্যাম্প, একটি ১০ লাখ টাকার চেক এবং ১৪টি গোপন ডিভাইস উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, পরীক্ষার আগের রাতে এই পুলিশ সদস্যদের এমন তৎপরতার বিষয়ে জানতে পেরে প্রথমেই আরএমপি সদর দফতরের কম্পিউটার অপারেটর শাহরিয়ার পারভেজ শিমুল ও আবদুর রহমানকে আটক করেন আরএমপির গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁদের নগর ডিবি পুলিশের কার্যালয়েই রাখা হয়। তাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে দিনাজপুরের পার্বতীপুর থানা থেকে এএসআই গোলাম রাব্বানীকে আটক করা হয়। এ চক্রের সঙ্গে আর কে কে জড়িত তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।

পুলিশের ধারণা, এ চক্রের সঙ্গে পুলিশ নয়, এমন প্রতারকও জড়িত।

আরএমপির মুখপাত্র জামিরুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের প্রতারণার চেষ্টার অভিযোগে কারিমা খাতুন নামের এক ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থী শনিবার সন্ধ্যায় রাজপাড়া থানায় একটি মামলা করেছেন। এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে এএসআই গোলাম রাব্বানী এবং কনস্টেবল আবদুর রহমান ও শাহরিয়ার পারভেজ শিমুলকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

মুখপাত্র আরো বলেন, মামলায় আরো একজন পুলিশ কনস্টেবলকে দিনাজপুরে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে রাজশাহী আনা হচ্ছে। রাজশাহী আসার পর তাকেও আদালতে তোলা হবে।

স্বাআলো/এস

Share post:

সাবস্ক্রাইব

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

সর্বাধিক পঠিত

আপনার জন্য প্রস্তাবিত
Related

খুলনাসহ চার বিভাগে আরো ২ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি

ঢাকা অফিস: সদ্যই শেষ হলো মৌসুমের সবচেয়ে উত্তপ্ত মাস...

উপজেলা নির্বাচন: তৃতীয় ধাপে মনোনয়ন জমা দিলেন ১৫৮৮ প্রার্থী

ঢাকা অফিস: আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের...

আমি চাইলে আমেরিকার স্টাইলে পুলিশ দিয়ে আন্দোলন থামিয়ে দিতে পারি: প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা অফিস: দেশের বামপন্থি রাজনীতিবিদরা ৯০ ডিগ্রি ঘুরে গেছে...

আরো কমলো সোনার দাম

ঢাকা অফিস: টানা অষ্টমবারের মতো দেশের বাজারে কমলো সোনার...