মা-মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, আসামির আদালতে স্বীকারোক্তি

জেলা প্রতিনিধি, নোয়াখালী: জেলার সুবর্ণচরে মা-মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলার এক আসমি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের ৮নং আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া ইসলাম ওই আসামি জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

জবানবন্দি দেয়া আসামির নাম মেহরাজ উদ্দিন (৪৮)। সে চরওয়াপদা ইউনিয়নের বাসিন্দা।

চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, আসামি মেহরাজ দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়। পরে মামলার প্রধান আসামি আবুল খায়ের ওরফে মুন্সী মেম্বার ও মেহরাজ উদ্দিনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপরদিকে, নির্যাতিত শিশু আদালতে ২২ ধারায় ঘটনার বিবরণ দিয়ে জবানবন্দি প্রদান করে।

চুরির নাটক সাজিয়ে মা-মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণ

মামলা ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নের চর কাজী মোখলেছ গ্রামের একটি বাড়িতে গত সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ২টার মধ্যে বসতঘরের সিঁধ কেটে মা-মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

মামলার প্রধান আসামি চরওয়াপদা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদ্য বহিষ্কৃত সভাপতি আবুল খায়ের ওরফে মুন্সী মেম্বার (৫০) মেহরাজকে দিয়ে ঘরের সিঁধ কাটিয়ে গরু বেপারী হারুনকে (৪২) নিয়ে ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করে তাকে ধর্ষণ করে। ওই সুযোগে মেহরাজ ওই নারীর পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণ করে। পুলিশ ঘটনার পর পরই সিঁধ কাটার কাজে ব্যবহৃত কোঁদাল, কাঁচি, কালো প্যান্ট ও কানটুপি জব্দ করে।

নোয়াখালীতে পিস্তল-গুলিসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে গ্রেফতারকৃত সাবেক ইউপি সদস্য আবুল খায়ের মুন্সীকে প্রধান আসামি, হারুনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতএক ব্যক্তিকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। তাৎক্ষণিক পুলিশ আবুল খায়েরকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে চরক্লার্ক ইউনিয়ন থেকে মেহেরাজকে গ্রেফতার করা হয়।

এক প্রেস ব্রিফিংয়ে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, ধর্ষণ শেষে ফিরে যাওয়ার সময় কানে থাকা সোনার কানের দুল ও ঘরে থাকা নগদ টাকা নিয়ে যায়। পরে মেয়ের হাতের বাঁধন খুলে দেয় এবং ঘটনার বিষয়ে কাউকে কিছু বললে তাদেরকে প্রাণে মেরে ফেলবে বলে হুমকি ধমকি দেয়। মূলত হারুন গৃহবধূর বসতঘরে মালামাল আছে বলে মেহেরাজকে চুরি করতে ইন্ধন যোগায়। মেহরাজ রাজী হলে সিধ কেটে ঘরে প্রবেশ করে। প্রবেশের পর হারুনের সাথে মুন্সী মেম্বারকে দেখে মেহরাজ অবাক হয় এবং বুঝতে পারে ধর্ষণ করতেই তাকে দিয়ে চুরির নাটক সাজায়।

স্বাআলো/এস

Share post:

সাবস্ক্রাইব

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

সর্বাধিক পঠিত

আপনার জন্য প্রস্তাবিত
Related

পানিতে ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু

জেলা প্রতিনিধি, নোয়াখালী: জেলার কবিরহাটে গোসল করতে নেমে পুকুরের...

নোয়াখালীতে নতুন গ্যাস কূপের খনন কার্যক্রমের উদ্বোধন

জেলা প্রতিনিধি, নোয়াখালী: জেলার সোনাইমুড়ীতে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড...

নোয়াখালীতে হিট স্ট্রোকে স্কুলছাত্রের মৃত্যু

জেলা প্রতিনিধি, নোয়াখালী: জেলার সুবর্ণচর উপজেলায় হিট স্ট্রোকে কামরুল...

গরমে শ্রেণি কক্ষে অসুস্থ হয়ে পড়লো ১৮ শিক্ষার্থী

জেলা প্রতিনিধি, নোয়াখালী: জেলার হাতিয়া ও বেগমগঞ্জ উপজেলার দুইটি...