যশোর জেলা বঙ্গবন্ধু আইন ছাত্র পরিষদের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদকসহ পাঁচজনের নামে আদালতে মামলা করা হয়েছে।
সোমবার (২ অক্টোবর) সদর উপজেলার নিমতলা গ্রামের মফিজুর রহমান ধাবক বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন।
গত ১০ সেপ্টেম্বর রাতে নিমতলা গ্রামে ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুল ইসলাম ইমন হত্যা মামলাটি ভিন্নখাতে নিতে এই মিথ্যা মামলাটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা বঙ্গবন্ধু আইন ছাত্র পরিষদের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান আলী।
মামলায় আসামি করা হয়েছে, নিমতলা গ্রামের হাদিউজ্জামানের ছেলে ও জেলা বঙ্গবন্ধু আইন ছাত্র পরিষদের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান আলী, আবু বক্কার সরদারের ছেলে শফিকুল ইসলাম, মৃত রুপোই মোল্যার ছেলে আনিচুর রহমান মুক্তি, গোলাম হোসেনের ছেলে রাজিব হোসেন ও দেয়াপাড়া গ্রামের কাজী সেলিম রেজার ছেলে মোহাম্মদ আলী ক্লে। এর মধ্যে ইমরান আলী ও মোহাম্মদ আলী ক্লে হত্যা মামলার প্রধান স্বাক্ষী।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে মফিজুর রহমান ধাবক লিজ নেয়া জমিতে শাকসবজি চাষ করে আসছিলেন। আসামিরা তার কাছে চার লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা না দেয়ায় গত ১০ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নিমতলা বাজার সংলগ্ন বাদীর জমিতে আসে। এসময় দাবিকৃত চাঁদার টাকা না পেয়ে তাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে। কাছে থাকা এক লাখ ৫০ হাজার টাকা চাঁদা স্বরূপ নিয়ে নেয়। একই সাথে আরো এক লাখ টাকার সবজি নষ্ট করে ফেলে।
তবে, এই মামলার প্রধান আসামি যশোর জেলা বঙ্গবন্ধু আইন ছাত্র পরিষদের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান আলী জানিয়েছেন, গত ১০ সেপ্টেম্বর রাতে ছাত্রলীগকর্মী রাকিবুল ইসলাম ইমনকে নিমতলা বাজারে প্রকাশ্যে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ওই হত্যা মামলার প্রধান স্বাক্ষী ইমরান আলী ও মোহাম্মদ আলী ক্লে। তাই হত্যা মামলাটি ভিন্নখাতে নিতে এই মিথ্যা ও সাজানো চাঁদাবাজি মামলাটি করা হয়েছে।
স্বাআলো/এসএ