ঢাকা অফিস: দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে পুনর্নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন।
ফাউন্ডেশনের কো-চেয়ার ও ট্রাস্টি মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস পাঠানো শুভেচ্ছাপত্রে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নতুন মেয়াদ শুরু করায় তাকে শুভকামনা জানিয়েছেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারিত্বকে কতটা মূল্যায়ন করি তা প্রকাশ করার জন্য বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের সবার পক্ষ থেকে আমি যুক্ত হয়েছি।
মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস বলেন, এসডিজি এবং সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশের উন্নয়ন লক্ষ্যগুলোকে সমর্থন অব্যাহত রাখার আশা করছি।
মেলিন্ডা গেটস বলেন, বাংলাদেশ প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনা গ্রহণের ক্ষেত্রে একটি আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক উদাহরণ হতে প্রস্তুত। আমরা দূরদর্শী ডিজিটাল বাংলাদেশ উদ্যোগসহ আপনার আর্থিক অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যগুলোর জন্য চলমান সহায়তা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল আর্থিক ইকোসিস্টেম বিকাশে এটুআই ও আইসিটি’র সঙ্গে আমাদের ফাউন্ডেশনের অংশীদারিত্ব রয়েছে। আমরা ২০৪১ সালে আপনার স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশনে অবদান রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে সহযোগিতা করছি।
তিনি আরো বলেন, আমাদের ফাউন্ডেশন সবার জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আপনার প্রতিশ্রুতির সঙ্গে শরিক হয়েছে।
বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের কো-চেয়ার ও ট্রাস্টি পুষ্টি বিষয়ে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা সফলভাবে সম্পন্ন করা এবং জাতীয় খাদ্য ও নিরাপত্তা নীতি ২০২০-২০৩০ পাশ করায় শেখ হাসিনা সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ফাউন্ডেশনের পুষ্টি দল বৃহৎ আকারের খাদ্য মজুদকরণের মাধ্যমে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের ঘাটতি দূর করার দিকে মনোনিবেশ করছে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক এ সহযোগিতার পথ খোলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমি আশা করি আমরা আমাদের সমস্ত উন্নয়ন অগ্রাধিকারকে সন্বিবেশিত করে আরো ব্যাপক একটি চুক্তির বিকাশ ঘটাতে পারি।
মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে আরো সুষম করার জন্য শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতিরও প্রশংসা করেন।
জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনার সূচনাকে অভিনন্দন জানিয়ে মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস বলেন, শেখ হাসিনার সরকারের ফোকাস কপ২৮-এ যেমন, ফাউন্ডেশনও অভিযোজন অর্থায়ন জলবায়ু কর্ম বৃদ্ধির পক্ষে সুপারিশ করছে। তিনি বলেন, আমি আশা করি আমরা এই প্রচেষ্টাগুলোতে সহযোগিতা করার উপায় খুঁজে বের করতে এবং বাংলাদেশের জন্য জলবায়ু অভিযোজনের সুযোগগুলো অবারিত করতে পাবো।
ফাউন্ডেশনের একটি নির্বাহী প্রতিনিধিদল এই বছর বাংলাদেশ সফর করবে বলে জানিয়ে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, তারা বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য ও উন্নয়ন পরিচালনায় তাদের যৌথ প্রচেষ্টা এবং ভবিষ্যতের সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করতে শেখ হাসিনার প্রশাসনের সিনিয়র সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হরি মেনন-যিনি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ফাউন্ডেশনের কাজের নেতৃত্বে রয়েছেন এবং জামাল খান-যিনি বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে তাদের সরকারি সম্পর্কের নেতৃত্ব দেন, তারা এই সফরের পরিকল্পনা করতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আসবেন।
মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস বলেন, আমি আমাদের শক্তিশালী অংশীদারিত্ব অব্যাহত রাখতে ও একসঙ্গে আমাদের অভিন্ন লক্ষ্যগুলোর দিকে এগিয়ে যেতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।
স্বাআলো/এস