সাকিব অধ্যায়ের ইতি, নতুন অধিনায়ক শান্ত

স্পোর্টস ডেস্ক: ২০১৭ সালের এপ্রিলে সাকিব আল হাসানকে টি-টোয়েন্টির দায়িত্ব দিয়ে তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়কের যুগে প্রবেশ করেছিলো বাংলাদেশ।

এর প্রায় ছয় বছর পর গত আগস্টে সেই সাকিবের হাত ধরেই তিন ফরম্যাটে এক অধিনায়ক তত্ত্বে ফিরে যায় টাইগাররা। এবার এক সঙ্গে তিন ফরম্যাট থেকে দায়িত্ব ছাড়ায় সাকিবের নেতৃত্ব অধ্যায়ের ইতি ঘটলো।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) মিরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে বিসিবির বোর্ড সভা শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে নাজমুল হোসেন শান্তকে অধিনায়ক ঘোষণা করেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। অন্তত আগামী এক বছরের জন্য তিন ফরম্যাটেই বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবেন শান্ত।

পাপন বলেন, সাকিবের সঙ্গে কথা হয়েছে। কালকে পর্যন্ত যেটা কথা হয়েছে, ওর চোখের সমস্যা এখনো যায়নি। কাজেই আমাদের সামনে শ্রীলঙ্কা সিরিজ আছে, তারপর আরেকটা সিরিজ আছে, বিশ্বকাপ আছে। আসলে তাকে পাবো কিনা আমরা নিশ্চিত না।

‘অবশ্যই ও আমাদের প্রথম পছন্দ অধিনায়ক হিসেবে সবসময়ই ছিলো, এখনো আছে। দুর্ভাগ্যবশত যেহেতু একটা অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে, এটার মধ্যে আমরা থাকতে চাচ্ছি না। কাজেই আমরা সিদ্ধান্ত আর দেরি করতে চাইনি। এখন থেকে বিশ্বকাপের খুব বেশি দেরি নেই, এই সময়ে যেনো ভালোভাবে দলটা চলতে পারে, সেজন্য এই নামটা (শান্ত) আমরা ঘোষণা করে দিয়েছি। আরো যোগ করেন পাপন।

২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে মাশরাফি বিন মর্তুজার সহ-অধিনায়ক ছিলেন সাকিব। প্রথম টেস্টে মাশরাফি ইনজুরিতে পড়ায় সাকিবকে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক করা হয়। সেটাই ছিলো নেতা সাকিবের প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট। সেখানে নিজেকে প্রমাণ করায় পরের সিরিজেই তাকে ভারমুক্ত করে আনুষ্ঠানিকভাবে নেতৃত্ব দেয় বিসিবি।

প্রথম দফায় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রায় দুই বছর। ২০১১ সালে জিম্বাবুয়ে সফরের পর অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয় এই অলরাউন্ডারকে। এর ৬ বছর পর ২০১৭ সালে মাশরাফি বিন মর্তুজা টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরে গেলে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট দিয়ে আবারো নেতৃত্বে ফেরেন সাকিব। একই বছরে মুশফিকুর রহিমের কাছ থেকে দ্বিতীয়বারের মতো সাদা পোশাকের অধিনায়কের দায়িত্বও পান তিনি। কিন্তু ২০১৯ সালে আইসিসি কর্তৃক এক বছরের নিষেধাজ্ঞায় পড়ে দ্বিতীয় দফায় নেতৃত্ব হারান।

এরপর ২০২২ সালের জুনে টেস্ট ক্রিকেট দিয়ে আবারো দলের নেতৃত্বে ফেরেন সাকিব। মাস কয়েক পরেই টি-টোয়েন্টির নেতৃত্বও পান তিনি। আর গত বছরের ১১ আগস্ট তিন ফরম্যাটে অধিনায়ক করা হয় সাকিবকে। ৭ মাস পর এবার অধিনায়কত্ব অধ্যায়ের ইতি টানলেন সাকিব।

সাকিবের রেখে যাওয়া চেয়ারটা এখন শান্তর জন্য বরাদ্দ। এবারই প্রথমবারের মতো স্থায়ীভাবে অধিনায়কত্ব পেলেন শান্ত। তবে এর আগেও বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা আছে এই টপ অর্ডার ব্যাটারের। নিয়মিত অধিনায়কের অনুপস্থিতিতে একাধিক সময়ে লাল-সবুজের হয়ে টস করেছেন শান্ত। সেই সংখ্যাটাও নেহাত কম নয়! এখন পর্যন্ত সব সংস্করণ মিলিয়ে বাংলাদেশকে ১১ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন শান্ত।

সাদা পোশাকে তার অধিনায়কত্বে মোট ২টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। যেখানে এক টেস্টে হারের বিপরীতে একটি ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে শান্তর নেতৃত্বে ৬ ম্যাচ খেলে ৫ ম্যাচেই হেরেছে বাংলাদেশ। বিপরীতে একটি ম্যাচে জয় পেয়েছে টাইগাররা। আর টি-টোয়েন্টিতে ৩ ম্যাচে ১ জয় ও ১ হার অধিনায়ক শান্তর। অপর একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে।

স্বাআলো/এস

Share post:

সাবস্ক্রাইব

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

সর্বাধিক পঠিত

আপনার জন্য প্রস্তাবিত
Related

যে তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসাব জব্দই থাকছে

ঢাকা অফিস: গত ৪ মার্চ আয়কর আইনের বিধান অনুসারে...

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ

ঢাকা অফিস: আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার...

৫৩৮ হজযাত্রীর টাকা নিয়ে এজেন্সি মালিক উধাও

ঢাকা অফিস: রিসান ট্রাভেলস ও দিয়া ইন্টারন্যাশনাল নামের দুই...

২১ মে ১৫৭ উপজেলায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা

ঢাকা অফিস: আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের...