যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো অঙ্গরাজ্য থেকে ১১৫ জনের গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই বাড়িটি একটি শেষকৃত্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের বলে জানা গেছে। তারা টাকার বিনিময়ে মানুষের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার কার্যক্রম সম্পন্ন করে দেয়। পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণে ওই মরদেহগুলোর এমন অবস্থা হয়ে কি না তা জানতে তদন্ত করা হচ্ছে।
শনিবার (৭ অক্টোবর) ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের এক প্রতিবেন থেকে এই তথ্য পাওয়া যায়। এর আগে শুক্রবার অঙ্গরাজ্যের ছোট্ট শহর ফ্রেমন্টের পরিত্যক্ত এক ভবন এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেই প্রতিষ্ঠানটিই সেখানে এতগুলো মরদেহ রেখেছিলো। কিন্তু কেনো রেখেছিলো সে বিষয়ে এখনো বিস্তারিত জানায়নি পুলিশ।
প্রতিষ্ঠানটির মালিক জন হালফোর্ড দাবি করেছেন, তিনি মরদেহগুলোর ট্যাক্সিডার্মি করিয়েছিলেন, তারপরও কেনো দুর্গন্ধ ছড়ালো সে বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারছেন না। ট্যাক্সিডার্মি হলো এমন এক পদ্ধতি, যার সাহায্যে মানুষ বা কোনো প্রাণীর মরদেহের চামড়াকে বিশেষভাবে সংরক্ষণ করা হয়।
হালফোর্ডের দাবি, তিনি এই ভবনটিতে মরদেহের ট্যাক্সিডার্মির কাজ করতেন। রাজ্য কর্তৃপক্ষ ভবনটিকে সিল করে দিয়েছে।
রিটার্ন টু নেচার ফিউনারেল হোমের মালিক জন হালফোর্ড আরো দাবি করেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে তিনি ভবনটি নিয়ে ঝামেলায় পড়েছেন। তবে ঝামেলা কী ধরনের সে বিষয়ে কোনো কিছু জানা যায়নি।
তবে কলোরাডো অঙ্গরাজ্য সরকারের নথি বলছে, হালফোর্ড অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া ও সৎকারের জন্য ভবনটির নিবন্ধন করলেও সেখানে ট্যাক্সিডার্মি করার কোনো অনুমতি ছিলো বলে তার নিবন্ধনপত্রে লেখা নেই। এছাড়া আগামী মাসেই ভবনটির নিবন্ধনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে।
ফ্রেমন্টের শেরিফ অ্যালেন কুপার বলেছেন, এই ঘটনায় এখনো কাউকে অভিযুক্ত বা গ্রেপ্তার করা হয়নি। রাজ্যের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া বিভাগ জানিয়েছে, তারা পুলিশের সঙ্গে তদন্তে সহযোগিতা করে যাচ্ছে।
স্বাআলো/এসএস