খুলনা ব্যুরো: খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুকৃবি) বিভাগীয় প্রধান ও প্রভোস্ট-পরিচালকসহ ৩০ জন শিক্ষক তাদের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন। একইসঙ্গে সমিতির একাংশের শিক্ষকরা ফের কর্মবিরতি শুরু করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এসব শিক্ষকরা মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার খন্দকার মাজহারুল আনোয়ার বরাবর পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন। একইসঙ্গে কর্মবিরতি শুরু করেন।
তবে রেজিস্ট্রার মাজহারুল আনোয়ার বুধবার (৬ ডিসেম্বর) জানিয়েছেন, তিনি বিষয়টি শুনেছেন। তবে এখনো এসব পদত্যাগ পত্র হাতে পাননি।
২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নিয়োগ বাণিজ্য, অনিয়ম, শিক্ষকদের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ, সাবেক উপাচার্যের ছেলে-মেয়ের চাকরিচ্যুতিসহ নানা কারণে সারা বছরই আলোচনায় ছিলো। শিক্ষকদের পদোন্নতি এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দেয়ার দাবিতে ১৬ অক্টোবর থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন শিক্ষক সমিতির প্রায় সব শিক্ষক। তবে ৯ নভেম্বর তারা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেন।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি বলছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় যে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তাতে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার কোনো কিছুই বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে গত এক বছরের বেশি সময় ধরে ঝুলে থাকা শিক্ষকগণের পদোন্নতি আরো দীর্ঘায়িত হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আশিকুল আলম জানান, আমাদের বিষয়ে শিক্ষক মন্ত্রণালয় যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, আমরা ৭৩ জন শিক্ষক সেটা মেনে নিয়েছি। তারপরও শিক্ষকদের পদোন্নতি আটকে রাখা হয়েছে। উপাচার্য স্যার যদি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুমোদন দিয়ে দেন, তাহলেই জটিলতা কেটে যায়। কিন্তু সেটা করা হচ্ছে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আবুল কাশেম চৌধুরী বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের অনুমোদন সাপেক্ষ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ করছি। শিক্ষকের নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতা, শিক্ষকের পদোন্নতির এ বিষয়গুলো সাবেক উপাচার্যের আমলের। তবুও আমরা বিষয়গুলো সমাধানে কাজ করছি। কিছু বিষয় আদালতের প্রক্রিয়াধীন রয়েছেন। এর বাইরে যে বিষয়গুলো আছে, সেগুলো শিগগিরই সমাধান হয়ে যাবে।
স্বাআলো/এস