হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীর পাকস্থলীতে মিললো তিন হাজার ৫১৮ পিস ইয়াবা। এসময় ওই যাত্রীকে আটক করেছে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন।
রবিবার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় তাকে বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনাল থেকে গ্রেফতার করা হয়। কক্সবাজার থেকে একটি ফ্লাইটে করে ঢাকায় এসেছিলেন তিনি।
বিষয়টি জানিয়ে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক জানান, যাত্রী জাহেদ হোসেন (২৫) রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ইউএস বাংলা এয়ারলাইনসের ফ্লাইট বিএস১৫৬ যোগে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। এসময় অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে সাদা পোশাকে দায়িত্বরত এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা দলের যাত্রী জাহিদকে সন্দেহ হলে তাকে আটক করা হয়। এরপর যাত্রীকে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের অফিসে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি স্বীকার করেন যে তিনি পাকস্থলীতে ইয়াবা বহন করছেন এবং এর সম্ভাব্য পরিমাণ ৩৫০০ পিস।
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পাওয়ার পর এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য এয়ারপোর্ট এপিবিএন যাত্রীকে উত্তরার হলিল্যাব ডায়গনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যায় এবং এক্সরে পরীক্ষা করা হয়। এক্সরে পরীক্ষায় এবং ডাক্তারের রিপোর্টে জাহিদের পাকস্থলীতে ছোট ছোট প্যাকেট করা প্রায় ৭২টি প্যাকেটের অস্তিত্ব ধরা পড়ে। ইয়াবার অস্তিত্ব নিশ্চিত হবার পর বিমানবন্দর থানার সহযোগিতায় যাত্রীকে রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে তার পেট থেকে মোট ৭২ টি ইয়াবা প্যাকেট উদ্ধার করা হয়। গননা শেষে সেখানে ৩৫১৮ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়।
যাত্রী জাহিদ হোসেন (২৫) কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার বাসিন্দা, তার পিতার নাম আ. গফুর। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, প্রতি ১০০০ পিস ইয়াবা বহনের জন্য ১০ হাজার টাকায় চুক্তিবদ্ধ হন। এই চালান পৌঁছে দিতে পারলে তিনি প্রায় ৪০ হাজার টাকা পেতেন।
এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক আরও জানান, এর আগেও উক্ত যাত্রীকে ২৬ মে ২০২৩ তারিখে বিমানবন্দরের সামনে থেকে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করে মামলা দেয়া হয়। সেই মামলায় ১০ দিন আগে জামিন পেয়েই তিনি আবারো একই কাজ করতে গিয়ে গ্রেফতার হন।
যাত্রী জাহিদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় আইনগত ব্যবস্থা মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
স্বাআলো/এসএস