যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষায় ৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে সবাই ফেল করেছে। আর ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে।
এদিকে এবার এইচএসসিতে পাসের পাসের হার ও জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে। গতবছর যশোর বোর্ডে পাসের হারে দেশের শিক্ষাবোর্ডগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় ছিলো ও জিপিএ-৫ এর হারও ছিলো বেশ অনেক।
এ বছর পাসের হারে শেষের দিক থেকে দ্বিতীয় হয়েছে। অর্থাৎ দেশের ১১টি শিক্ষাবোর্ডের মধ্যে ১০তম হয়েছে। আর জিপিএ-৫ এর সংখ্যা ১০ হাজারের মত হ্রাস পেয়েছে। এ বছর যশোর শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৬৯.৮৮ শতাংশ ও জিপিএ-৫ এর সংখ্যা ৮ হাজার ১২২। গত বছর পাসের ছিলো ৮৩.৯৫ শতাংশ ও জিপিএ-৫ এর সংখ্যা ছিলো ১৮ হাজার ৭০৩।
প্রেসক্লাব যশোরে রবিবার (২৬ নভেম্বর) বিকালে যশোর শিক্ষাবোর্ডের ফলাফল তুলে ধরেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. বিশ্বাস শাহিন আহম্মদ। সে সময় এসব তথ্য জানান তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কলেজ পরিদর্শক সমীর কুন্ডু ও উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নিয়ামত ইলাহী।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. বিশ্বাস শাহিন আহম্মদ জানান, এ বছর যশোর শিক্ষাবোর্ডে পরীক্ষার্থী ছিলো ১ লাখ ৯ হাজার ৬৩৪ জন। তারমধ্যে পাস করেছে ৭৬ হাজার ৬১৬ জন। পাশের হার ৬৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ ও জিপিএ-৫ এর সংখ্যা ৮ হাজার ১২২। তারমধ্যে পাসের হার ও জিপিএ-৫ এ মেয়েরা ছেলেদের থেকে এগিয়ে। ৭৬ হাজার ৬১৬ জন পাসকৃতদের মধ্যে ৪০ হাজার ৭৩১ জন মেয়ে ও ৩৫ হাজার ৮৮৫ জন ছেলে। ৮ হাজার ১২২ জন জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের মধ্যে ৪ হাজার ৫৫৬ জন মেয়ে ও ৩ হাজার ৫৬৬ ছেলে। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১৬ হাজার ৩৪১ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ৫১২ জন। মানবিক বিভাগ থেকে পাস করেছে ৪৯ হাজার ৩৩০ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ হাজার ৯৬৫ জন। ব্যবসা শিক্ষা বিভাগ থেকে পাস করেছে ১০ হাজার ৯৪৫ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৫৪ জন। এছাড়াও খুলনা বিভাগের ১০ জেলার মধ্যে খুলনার পাসের হার ৮০.০৪ শতাংশ, বাগেরহাটের পাসের হার ৬১.৬১ শতাংশ, সাতক্ষীরার পাসের হার ৬৯.৭৭ শতাংশ, কুষ্টিয়ার পাশের হার ৬৪.৪৪ শতাংশ, চুয়াডাঙ্গার পাসের হার ৬২.০৩ শতাংশ, মেহেরপুরের পাসের হার ৬৭.৪১ শতাংশ, যশোরের পাসের হার ৭৫.২৮ শতাংশ, নড়াইলের পাসের হার ৫৮.৮৩ শতাংশ, ঝিনাইদহের পাসের হার ৬৭.৫৮ শতাংশ ও মাগুরার পাসের হার ৬৬.০৭ শতাংশ।
তিনি জানান যশোর শিক্ষাবোর্ডের ১০টি কলেজের শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে। সেগুলো হলো, খুলনার খুলনা পাবলিক কলেজ, যশোরের অভয়নগর উপজেলার ভবদহ মহাবিদ্যালয়, ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ, খুলনার ফুলতলা জামিরা বাজার আসমতিয়া কলেজিয়েট স্কুল, যশোরের কেশবপুরের সাউথ বেঙ্গল কলেজ, খুলনার মিলিটারি কলেজিয়েট স্কুল , খুলনার সোনাডাঙ্গার ইসলামাবাদ কলেজিয়েট স্কুল, বাগেরহাটের ফকিরহাটের লাখপুর আলহাজ্জ আম্বিয়া ইসহাক কলেজিয়েট স্কুল, খুলনার খালিশপুরের নেভি অ্যাঙ্করেজ স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও খুলনা নিউজপ্রিন্ট মিলস্ স্কুল অ্যান্ড কলেজ। অপরদিকে, যশোর বোর্ডের ৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৭টি কলেজের সবাই ফেল করেছে। সেগুলো হলো, কুষ্টিয়ার মিরপুরের কেএম আইডিয়াল কলেজ , খুলনার তেরখাদার শাপলা কলেজ, সাতক্ষীরা সদরের ইসলামিয়া মহিলা কলেজ, মাগুরা সদরের দক্ষিণ নওয়াপাড়া সম্মিলনী কলেজ , নড়াইল সদর উপজেলার গোবরা মহিলা কলেজ, সাতক্ষীরা সদরের সাতক্ষীরা কমার্স কলেজ ও গোবরদাড়ি জোরদিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ ।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বলেন, ইংরেজি ও উচ্চতর গণিতে শিক্ষার্থীরা খারাপ ফল করেছে। সেইজন্য যশোর বোর্ডের রেজাল্ট খারাপ হয়েছে। আগামী ফলাফল ভাল করার জন্য সব ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
স্বাআলো/এসএ