পটুয়াখালীর ডি এস আলিম মাদরাসায় গোপনে উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ ও মাদরাসার গভর্নিংবডির সভাপতি আব্দুস সাত্তারের বিরুদ্ধে।
পটুয়াখালী সদর উপজেলার বড়বিঘাই ইউনিয়নের তিতকাটা ডি এস আলিম মাদরাসায় আবুল কালাম আজাদ ২০২৩ সালে উপাধ্যক্ষ থেকে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পান। এরপর পদ খালি হওয়ায় কিছুদিনের মধ্যেই গোপনে উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেন অধ্যক্ষ ও গভর্নিংবডির সভাপতি।
এই গভর্নিংবডি কমিটির বিষয়ে পটুয়াখালী বিজ্ঞ সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে। যার মামলা নং ২৬৭/২৩। এছাড়া পটুয়াখালী দায়রা জজ আদালতে মামলাটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগে স্বজনপ্রীতি ও অর্থবাণিজ্য!
গভর্নিংবডির এক সদস্য বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে শুনতে পাই প্রায় আট থেকে ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেয়ার পায়তারা চালাচ্ছেন অধ্যক্ষ ও গভর্নিংবডির সভাপতি।
তিতকাটা ডি এস আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ জানান, মাদরাসায় উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগের ব্যাপারে সভাপতি বরাবর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে। কাগজপত্র সবই তার কাছে আছে।
শিক্ষক নিয়োগ: জাল সনদে আবেদন করে ধরা খেলেন ১২৩ প্রার্থী
মাদরাসার গভর্নিংবডির সভাপতি আব্দুস সাত্তারের কাছে উপাধ্যক্ষ নিয়োগের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিয়ম অনুযায়ীই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে। এ বছরের ৪ আগস্ট দৈনিক মানবজমিন ও গণদাবী পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে। কিন্তু নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ডকুমেন্টস দেখতে চাইলে তিনি কিছুই দেখাতে পারেনি।
পটুয়াখালী জেলা শিক্ষা অফিসার মজিবুর রহমান জানান, ডি এস আলিম মাদরাসায় উপাধ্যক্ষ নিয়োগে কোনো অনিয়ম হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করে কোনোভাবেই নিয়োগ দেয়া যায় না বলে জানান তিনি।
স্বাআলো/এস
