খুবই ধীরগতিতে চলছে খুলনায় হাইটেক পার্কে নির্মাণ কাজ । প্রকল্প অনুমোদনের ছয় বছর পরও কাজ হয়েছে মাত্র ২০ ভাগ।
বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ খুলনা মহানগরীর লবণচরা এলাকায় দাদা ম্যাচ ফ্যাক্টরির ৩.৫৯ একর জমিতে হাইটেক পার্ক নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। ২০১৭ সালের ২৫ এপ্রিল প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন পায়। প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল ধরা হয় ২০১৭ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। কিন্তু বিভিন্ন জটিলতায় প্রকল্পের কাজ শুরু হয় অনেক দেরিতে। ২০২২ সালের ১৪ জুন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক খুলনায় হাইটেক পার্ক নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এরপরও কাজ চলছে ধীরগতিতে।
প্রকল্পের আওতায় রয়েছে স্টিল স্ট্রাকচারের ৭তলা মাল্টিটেনেন্ট ভবন ও একটি সিনেপ্লেক্স ভবন নির্মাণ, বাউন্ডারি ওয়াল, গেট হাউজ ও অভ্যন্তরীণ রাস্তা নির্মাণ, অভ্যন্তরীণ ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও ওয়াকওয়ে, নলকূপ স্থাপন ও অভ্যন্তরীণ পানি সরবরাহ ও ইলেকট্রমেকানিক্যাল কাজ। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ১৭০ কোটি টাকা।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের প্রায় ৬ মাস পর ২০২২ সালের নভেম্বরে ৭তলা ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লার্সেন অ্যান্ড টুবরো এই কাজ করছে। এই ভবনের পাইলিং কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। দেখা গেছে, এখন পিলার নির্মাণের জন্য রড বাধা হচ্ছে। প্রকল্প এলাকায় বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও নির্মাণ সামগ্রী রাখা আছে।
এ ব্যাপারে খুলনা নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট বাবুল হাওলাদার বলেন, প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল শেষ হতে যাচ্ছে, অথচ কাজের অগ্রগতি হয়েছে মাত্র ২০ শতাংশ। সরকারি অধিকাংশ কাজে এমন ধীরগতির কারণে প্রকল্প ব্যয় বেড়ে যায়। এই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়লে তখন ব্যয়ও বৃদ্ধি পেতে পারে।
এ ব্যাপারে প্রকল্প পরিচালক এ কে এ এম ফজলুল হক বলেন, জমি অধিগ্রহণ এবং করোনা পরিস্থিতির কারণে নির্মাণ কাজ শুরু করতে দেরি হয়েছে। এখন দ্রুতগতিতে ৭তলা ভবন নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে। প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি ২০ শতাংশ। ৭তলা ভবন নির্মাণের পর সিনেপ্লেক্স ভবন নির্মাণ করা হবে। তিনি জানান, প্রকল্পের মেয়াদ আগামী জুন মাসে শেষ হচ্ছে। তবে নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে কাজ শেষ করা সম্ভব হবে না। সে কারণে ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য প্রস্তাবনা দেয়া হচ্ছে। চেষ্টা করা হবে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে যাতে কাজ শেষ হয়।
প্রকল্প পরিচালকের অফিস সূত্রে জানা গেছে, খুলনা হাইটেক পার্কে প্রতিবছর এক হাজার তরুণ-তরুণীকে আইটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে মোট ৩ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। হাইটেক পার্ক খুলনা অঞ্চলের মানুষের আইটি দক্ষতা বাড়ানোর সুযোগ করে দেবে।
স্বাআলো/এসএস
