রাজশাহীতে ট্রাকের ধাক্কায় দুই নারীসহ সিএনজিচালিত অটোরিকশার পাঁচ যাত্রী নিহত হয়েছেন। ২৫ নভেম্বর পুঠিয়া উপজেলার বেলপুকুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, অটোরিকশার যাত্রীরা ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে। ঘটনাস্থলেই একজন মারা যান। গুরুতর আহত চারজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে আরো চারজনের মৃত্যু হয়। এ চিত্র শুধু রাজশাহীর নয়। সারাদেশেই ঘটছে। প্রতিদিন সংবাদপত্রের পাতা উল্টালে কোথাও না কোথাও সড়ক দুর্ঘটনায় একাধিক মানুষের প্রাণহানির খবর চোখে পড়ে। সড়ক দুর্ঘটনায় ইদানিং মৃত্যুহার বেড়েই চলেছে। স্বজন হারানোর বেদনা কতটুকু তা যারা এ ব্যথায় ব্যথিত তারা ছাড়া আর কেউ অনুভব করতে পারবে না। এ জন্য পথচারীরাও কম দায়ী নয়। ফ্রিস্টাইলে ঘটে চলেছে সব কিছু। আমরা যেনো কেউ সচেতন নই। যানবাহনের আঘাতে যে মৃত্যু হচ্ছে তা প্রতিরোধে কোনো উদ্যোগ নেই।
যশোরসহ ১৩ জেলায় সড়কে ঝরলো ২৮ প্রাণ
আবার পথ চলতে আমরা এতো বেপরোয়া যে অসতর্ক হলে দুর্ঘটনার মাধ্যমে প্রাণ শেষ হতে পারে তা কেউ খেয়াল করে না। বড় একটি যানের আঘাতে মৃত্যু ঘটে সম্পূর্ণ অসচেতনতার কারণে।
দুর্ঘটনার কারণে প্রচলিত ধারায় পরিবহন শ্রমিকদের এককভাবে দায়ী করা হয়। কিন্তু আসলে শ্রমিকরা শুধু দায়ী নয়। এজন্য ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার জন্য কেউ কারো ওপর দোষ না চাপিয়ে সবাইকে সতর্ক হওয়া উচিত।
স্বাআলো/এস