জাপানের ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট তাকেদা ফার্মাসিউটিক্যালসের কোম্পানির তৈরি ডেঙ্গু ভ্যাকসিন ‘কিউডেঙ্গা’ ব্যবহারের জন্য বলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
সোমবার এই ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে বলে এক ব্রিফিংয়ে নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জেনেভায় ডব্লিউএইচওর সদরদফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গেব্রিয়েসুস বলেন, ‘ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি- এমন অঞ্চলগুলোতে ৬ থেকে ১৬ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে এই টিকা ব্যবহার করা যাবে।
অবশ্য ডব্লিউএইচওর আগেই জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য কিউডেঙ্গাকে ছাড়পত্র দিয়েছিলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইন্দোনেশিয়া ও ব্রাজিল।
প্রাণঘাতী ডেঙ্গু ভাইরাসের একমাত্র বাহক এডিস মশা। জলবায়ু পরিবর্তনের জেরে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের তাপমাত্রা বাড়ছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বৃষ্টিপাত।
আবহাওয়ার পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে এডিস মশার বংশবিস্তার। ফলে মৌসুমি জলবায়ুর দেশগুলোর পাশাপাশি গত কয়েক বছর ধরে ইউরোপের অনেক দেশেও এই রোগের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে।
তবে বাংলাদেশের মতো মৌসুমি জলবায়ুর দেশগুলোতে এই রোগের মাত্রা বহুগুণ বেশি। চলতি ২০২৩ সালের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত দুই লাখেরও বেশি মানুষ এবং এই রোগে মৃত্যু হয়েছে এক হাজারেরও বেশি মানুষের।
ইতিহাসে এর আগে ডেঙ্গুতে এত আক্রান্ত-মৃত্যু দেখেনি বাংলাদেশ।
মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালকের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন সংস্থার স্ট্র্যাটেজিক অ্যাডভাইসরি গ্রুপ অব এক্সপার্টস অন ইমিউনাইজেশন বিভাগের পরিচালক হান্না নোয়িনেক।
তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে বিশ্বজুড়ে চার ধরনের ডেঙ্গু ভাইরাসের উপস্থিতি বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে। পরীক্ষামূলক ট্রায়াল চলার সময় বিভিন্ন ধরনের ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের ওপর এই টিকা পরীক্ষামূলকভাবে ব্যাবহার করা হয়েছে এবং সেই পরীক্ষার ফলাফল সন্তোষজনক।
সূত্র: এএফপি
স্বাআলো/এসএস