যশোরের ঝিকরগাছার মোবারকপুর গ্রামে নবজাতক সন্তানের মৃত্যু শোক সইতে না পেরে মিঠুন (২৩) নামে এক যুবক কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করেছেন। ১৩ সেপ্টেম্বর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় যশোর জেনারেল হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
মৃত মিঠুনের স্বজনরা জানান, গত ১০ সেপ্টেম্বর মিঠুনের স্ত্রী একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। কিন্তু সন্তানটি অজ্ঞাত কারণে মারা যায়। সাধারণত শোনা যায় আদরের বা প্রিয়জনের মৃত্যু শোকে অনেকে মারা যায়। কিন্তু এ পর্যন্ত আত্মহত্যা শোনা যায়নি। তরুণ মিঠুনের এটিই সম্ভবত প্রথম সন্তান। অল্প বয়সে সন্তানের বাবা হবার সৌভাগ্য তার হয়েছিলো। কিন্তু সন্তাটির মৃত্যু তাকে এমন আঘাত দিয়েছে যে, তিনি সে আঘাত সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন।
শার্শার চিকিৎসা সংকটের নিরসন চাই
সন্তান বাৎসল্যের অনেক ঘটনা আছে। বাদশাহ বাবরের ছেলে হুমায়ুন অসুস্থ হলে বাবর তাঁর জীবনের বদলে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন হুমায়ুনের সুস্থতা। কথিত আছে বাদশা বাবর অল্প দিনের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং হুমায়ন সুস্থ হয়ে ওঠেন।
মা-বাবা হৃদয়ের কোন স্থান থেকে সন্তানকে স্নেহ করেন তা সন্তানরা উপলগ্ধি করতে চায় না। ওই ছেলেরা বাবা হলে বিষয়টি উপলগ্ধি করার কথা। কিন্তু হাল আমলে দেখা যাচ্ছে এক শ্রেণির সন্তানের সে চেতনা ভোতা হয়ে গেছে। আর তাই বাবা-মাকে তারা আবর্জনা ভেবে ছুড়ে দেয়। ছেলে থাকে আলিশান ভবনে আর বাবা থাকেন গাছ তলায়। এরপরও অবহেলিত বাবা-মা ছেলের কল্যাণ কামনা করে যান।
চৌগাছায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা
আত্মহত্যা নিন্দনীয় কাজ। প্রচলিত আইন ও ধর্মীয় বিধানেও এটি অপরাধ। কিন্তু মিঠুন সন্তান বাৎসল্যের কারণে নিজের জীবনকে বিসর্জন দিয়ে মা-বাবার প্রতি উদাসীন সন্তানদের শিক্ষা দিয়ে গেলেন। সন্তানের জন্য যে মা-বাবা সর্বস্ব ত্যাগ করেন তার মূল্যায়ন সন্তানদের করতে হবে।
স্বাআলো/এস