সম্পদকীয়: চুয়াডাঙ্গা, চট্টগ্রাম, পাবনা ও গাজীপুরে হিট স্ট্রোকে পাঁচজন মারা গেছে। ২০ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ঠাকুরপুরগ্রামে হিট স্ট্রোকে মাঠে কাজ করার সময় জাকির হোসেন নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
ইতোমধ্যে চট্টগ্রামে হিট স্ট্রোকে ছালেহ আহমদ শাহ (৭০)। মারা গেছেন। শিশুসহ দুইজন। জেলার বোয়ালখালী উপজেলায় সাফা নামের ছয় মাস বয়সী এক কন্যা শিশুর মৃত্যু ঘটে। পাবনায় শহরে সুকুমার দাস (৬০) নামে এক ব্যক্তি হিট স্ট্রোক করে মারা গেছেন । গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়িতে সোহেল রানা নামের এক যুবক মারা গেছে।
অতিরিক্ত গরমে স্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায় স্বাস্থ্যঝুঁকি। এ সময় ব্যক্তিগত সতর্কতা জরুরি। সরাসরি রোদে যত কম যাওয়া যায় সে চেষ্টা করতে হবে। বাইরে বেশি ঘোরাঘুরি করলে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। রোদে গেলে মাথায় চওড়া ক্যাপ, স্কার্ফ অথবা ছাতা দিতে হবে। পানিশূন্যতায় মানুষের হৃৎপিণ্ড ও নাড়ির গতি বেড়ে যায়। এতে মাথা ঘোরা বা বমি বমি ভাব হতে পারে। কেউ কেউ অজ্ঞান হয়ে যান। এ অবস্থাকে বলা হয় হিট স্ট্রোক। এ অবস্থা যাতে না হয় সে জন্য সতর্কতা দরকার। হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তিকে দ্রুত ছায়াময় জায়গায় নিয়ে চোখেমুখে পানি দিতে হবে। শরীরের কাপড় ঢিলে করে দিতে হবে। পাশাপাশি স্যালাইন ও স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি পান করাতে হবে।
গরমে খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনলেও কিছুটা স্বস্তির দেখা মিলতে পারে। বিশেষ করে ফলমূল ও পানির অভাব পূরণ করে এমন খাবার খেতে হবে। সাদা রঙের পোশাক সবচেয়ে ভালো। তাতে গরম অনেকটা কাটবে। গাঢ় রঙের পোশাকে গরম বেশি অনুভূত হয়। এ সময় সিনথেটিক কাপড়ের পোশাক এড়িয়ে চলতে হবে। সুতি ও লিনেনের ঢোলাঢালা পোশাক গরমে উপকারী।
প্রচন্ড গরমে কিছু ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে গিয়ে মামস, জলবসন্ত ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ে। বয়স্ক, শিশু এবং যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, যেমন, গর্ভবতীদের এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। এদিকে বিভিন্নস্থানে তীব্র তাপদাহে জনসাধারণকে সচেতন করতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় মাইকিং করে পথচারী ও এলাকাবাসীকে সতর্ক করছে জেলা প্রশাসন। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হচ্ছে। শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
স্বাআলো/এস