ফরিদপুরে ৬০ সেকেন্ডের ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যায় দুই শতাধিক ঘরবাড়ি। এ সময় ঘরের নিচে পড়ে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে এবং কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) রাতে ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের বড় হামিরদী, ছোট হামিরদী, গজারিয়ার কিছু অংশে ও আজিমনগর ইউনিয়নের পুকুরপাড় ও ঈশ্বরদী গ্রামে এই ক্ষয় ক্ষতি হয়।
নিহত গৃহবধূর নাম ঝরনা আক্তার (২১)। তিনি বড় হামিরদী গ্রামের শাহাবুদ্দিন শেখের স্ত্রী।
জানা যায়, কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টিতে গাছপালা ঘরবাড়ি দুর্বল হয়ে পড়ে। তার মধ্যে মাত্র ৬০ সেকেন্ডের ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড করে দেয় প্রায় দুই থেকে তিন শতাধিক ঘরবাড়ি ও অগণিত গাছপালা। ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কে গাছপালা পড়ে যান চলাচল বন্ধ থাকে ঘণ্টাখানেক।
এ ঘটনায় স্থানীয় হামিরদী ইউপি চেয়ারম্যান খোকন মিয়া বলেন, আমার ইউনিয়নে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে গাছগাছালি ও বসতঘর উপড়ে পড়ে। তবে ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক পাঁচ থেকে ছয় কোটি টাকার হবে।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিম উদ্দিন বলেন, কয়েকদিনের ভারি বর্ষণ এবং রাতের ঘূর্ণিঝড়ে দুই ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রামে প্রায় দুই শতাধিক ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড হয়ে যায়। এ ঘটনায় এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সারাদিন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে চাল, ডাল, তেল বিতরণ করেছি। নিহতের পরিবারের মাঝে নগদ ২০ হাজার টাকা অনুদান দিয়েছি। এক মুক্তিযোদ্ধাকে অর্থ সহায়তা করা হয়েছে।
অন্যদিকে আজিমনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাজাহান হাওলাদার জানান, আমার ইউনিয়নে দুটি গ্রামে প্রায় শতাধিক ঘর লন্ডভন্ড করে ফেলেছে, টিউবয়েল পর্যন্ত উপড়ে ফেলেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এবং আমার নিজ তহবিল থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ দেয়া হচ্ছে।
এদিকে, শুক্রবার স্থানীয় এমপি মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্তদের সান্ত্বনা দেন এবং তার নিজ তহবিল থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে অর্থ দেয়ার আশ্বাস দেন। ক্ষতিগ্রস্তদের লিস্ট করে সন্ধ্যায় তার বাড়িতে যেতে বলেছেন।
স্বাআলো/এসএ