চুয়াডাঙ্গায় নারমাল ভেলিভারিতে জন্ম নেয়া একসঙ্গে চার শিশু ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে সবাই মারা গেছে।
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত তিন কন্যা শিশু মারা যায়। জন্মের এক ঘণ্টা পর ছেলে শিশুটি মারা যায়।
শিশুদের বাবা ইমরান হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে স্বাভাবিকভাবে আমার স্ত্রী তসলিমা খাতুন (২৫) একসঙ্গে চার শিশু জন্ম দেয়। এর মধ্যে ছেলে সন্তানটি জন্মের কিছুক্ষণ পরই মারা যায়। এরপর শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে রাতের মধ্যে একে একে তিন কন্যা শিশু মারা যায়।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মাহবুবুর রহমান মিলন বলেন, সাধারণত কোনো শিশু যদি ৩৭ সপ্তাহের পর জন্মগ্রহণ করে ও তার ওজন দুই থেকে আড়াই কেজি হয় তাকে আমরা পুষ্ট বাচ্চা বলি। এর চেয়ে কম হলে সেগুলো অপুষ্ট বাচ্চা। একসঙ্গে যে চার বাচ্চা জন্ম নিয়েছে তারা সময়ের দুই মাস আগেই জন্মগ্রহণ করেছে। তাদের এক একজনের ওজন দেড় কেজির মতো বা তারও কিছু কম ছিলো। যার কারণে তাদের ফুসফুসসহ অনেক অঙ্গ পরিপক্ব হয়নি। নিজে থেকেও শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারছিলো না। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্যে ও আইসিইউ সাপোর্ট দেয়ার জন্যে বাইরে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছিলাম। যতটা সম্ভব আমরা চিকিৎসা প্রদান করেছি। তারপরও তাদের বাঁচানো গেলো না।
স্বাআলো/এসএস