গণধর্ষণের ঘটনা থামছে না

এক গৃহবধূ বাবার বাড়ি শাখারীগাতি গ্রাম থেকে গত ৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় শ্বশুর বাড়ি সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর গ্রামে যাচ্ছিলেন। রূপদিয়া বাসস্ট্যান্ডে আসার পর তার স্বামী এসে নিয়ে যাবে বলে অপেক্ষা করছিলেন। এরই মধ্যে পূর্ব পরিচিত দুই যুবক তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে গৃহবধূকে সাথে নিয়ে নরেন্দ্রপুর বাবু বাজার মাঠের মধ্যে নিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর রাতভর তার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়।

ভোর রাতে গৃহবধূকে তার পিতার বাড়ি পৌঁছে দিয়ে আসে তারা। অনলাইন নিউজ পোর্টল স্বাধীন আলো এ খবরটি প্রকাশ করেছে।

নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাজু আহম্মেদ জানিয়েছেন, ভুক্তভোগীর পিতা তাকে ঘটনাটি জানানোর পরে প্রশাসনকে জানানো হয়। পুলিশ জিরাট গ্রামের সোহেল ও আল-আমিনকে আটক করেছে।

সরকার ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড আইন পাস করে প্রশংসিত হয়েছে। এমন একটি কঠোর আইন দেশে জরুরি ছিলো। কারণ আমরা যেনো আদিম যুগে ফিরে যাচ্ছি। প্রতিনিয়ত যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণের যে ঘটনা ঘটছে তা রীতিমতো উদ্বেগজনক। গৃহবধূ থেকে স্কুলের ছাত্রী ও শিশুরা ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। ধর্ষণের হররোজের যে চিত্র তা তুলে ধরা সম্ভব নয়।

এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের পথ কি। এসব ঘটনায় প্রমাণ হয় আমাদের সমাজ অসুস্থ হয়ে গেছে। এটা সভ্য সমাজের লক্ষণ নয়। আমাদের সমাজের কোনো একটা জায়গায় রোগ হয়ে গেছে। অসুস্থ হয়ে গেছি আমরা সবাই।

ভুক্তভোগীদের মর্মযাতনা উপলব্ধি করে এর বিরুদ্ধে আরো কি ব্যবস্থা নেয়া যায় সে চিন্তা সমাজ বিজ্ঞানী, সরকার, রাজনীতিক সমাজসেবী সবাইকে ভাবতে হবে। এভাবে কোনো সভ্য সমাজ চলতে পারে না। অব্যাহত এ অপরাধের কারণে একদিন দেখা যাবে এ জাতি অসভ্য জাতির কলঙ্ক তিলক ললাটে উঠেছে।

স্বাআলো/এস

Share post:

সাবস্ক্রাইব

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

সর্বাধিক পঠিত

আপনার জন্য প্রস্তাবিত
Related

আগুনের লেলিহান শিখা থেকে জনগণের সম্পদ রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

সম্পাদকীয়: কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় ফায়ার স্টেশন স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া...

নিরাপদ সড়কের গুরুত্বপূর্ণ দাবিটি গুরুত্বহীন থেকেই গেলো

সম্পাদকীয়: আবারো মোটরসাইকেল দুর্ঘনার সেই দুঃসংবাদ বিআরটিএর এপ্রিল মাসের...

নারী নির্যাতনের এধারা সভ্য সমাজে চলতে পারে না

সম্পাদর্কীয়: মেহেরপুর সদর উপজেলার গোভিপুর গ্রামে সালেহা খাতুন (৪০)...

দখল-দূষণে সাতক্ষীরার প্রাণসায়ের খালের করুণ দশা

সম্পাদকীয়: এক সময়ের প্রবাহমান সাতক্ষীরা শহরের প্রাণসায়ের খালটি এখন...