রাজশাহীতে ৯৩ হাজার টাকার চেককে পাঁচ লাখ ৯৩ হাজার লিখলেন কেশরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম।
রবিবার (১ অক্টোবর) দুপুরে অগ্রণী ব্যাংকের কেশরহাট বাজার শাখায় টাকা উত্তোলন করতে গেলে এ জালিয়াতি ধরা পড়ে।
এ বিষয়ে কেশরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি রুস্তম আলী প্রামাণিক বলেন, প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম তার দোকানের এক কর্মচারীকে টাকা উত্তোলনের জন্য রবিবার দুপুরে ব্যাংকে পাঠান। এরপর ব্যাংক থেকে আমাকে ফোন করে নিশ্চিত হওয়ার জন্য। ব্যাংক থেকে আমাকে জানানো হয় আমার ও প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর সম্বলিত একটি পাঁচ লাখ ৯৩ হাজার টাকার চেক দেয়া হয়েছে। আমি জানাই শুধু ৯৩ হাজার টাকার চেকে স্বাক্ষর করেছি। এরপরই ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সেই চেক আটকে দেয়। দ্রুত আমি ব্যাংকে যাই। আমি তাৎক্ষণিক প্রধান শিক্ষককেও ব্যাংকে আসতে বলি।
সভাপতি আরো বলেন, আমি জানতাম ব্যাংকে মোট ৯৪ হাজার টাকা আছে। তবে ছুটির মধ্যে ব্যাংকে আরো পাঁচ লাখ টাকা অনুদান জমা হয়েছে। এ টাকা সরাতেই প্রধান শিক্ষক এভাবে চেক জালিয়াতি করতে চেয়েছিলেন। এ বিষয়ে আমি আইনগত ব্যবস্থা নেবো। আপাতত চেকটি ব্যাংকেই ম্যানেজারের কাছে আছে। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষক ক্ষমাও চেয়েছেন। তবে আমি ক্ষমা করবো না। আমি মামলা করবো।
এদিকে স্কুলের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক ব্যাংকে উপস্থিত হলে দুই পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষককে ঘুষিও মারেন সভাপতি। পরে উপস্থিত লোকজন তাদের শান্ত করেন।
প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম বলেন, একটি অনুদান এসেছে। এক চেকেই উত্তোলনের জন্য আমি পাঠিয়ে ছিলাম। তবে আমি সব জায়গায় কাগজে কলমে পাঁচ লাখ ৯৩ হাজার লিখেছি এবং সভাপতি স্বাক্ষরও করেছেন। এখন তিনি অস্বীকার করছেন। এখানে আমার কোনো দোষ নেই। আমি কোনো চেক জালিয়াতি করিনি। এমনকি কোনো চেক জালিয়াতি হয়নি।
অগ্রণী ব্যাংক কেশরহাট শাখার ব্যবস্থাপক মনিরুজ্জামান খান বলেন, চেকটির মুড়িতে ৯৩ হাজার টাকা লেখা আছে। তবে মেইন চেকে পাঁচ লাখ ৯৩ হাজার লেখা দেখে আমাদের সন্দেহ হলে আমরা তাকে ফোন দেই। দুই পক্ষ আসার পর থেকেই আমরা এটি নিয়ে সমাধানের জন্য বলেছি। আমরাও একটি চিঠি দিয়েছি। তবে সমাধান না হাওয়া পর্যন্ত সবাই চেকটি আমাদের হেফাজতেই রাখতে বলেছেন। এজন্য চেকটি আমাদের হেফাজতেই রাখা হয়েছে।
স্বাআলো/এস