জেলা প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা: মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গায় এ মৌসুমে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গত ২৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
গত ২৯ বছরের রেকর্ড ভেঙ্গে চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছিয়েছে ৪৩ দশমিক ৭ডিগ্রি সেলসিয়াসে। গত ২০২৩ সালের ১৯ ও ২০ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ছিলো ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০০৪ সালের ১৩ মে তাপমাত্রা ছিলো ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস,২০১২ সালের ৪ জুন ছিলো তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৯ ডিগ্রি তাপমাত্রা । এছাড়া চলমি মৌসুমের ২০ তারিখে ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস,২১ তারিখে ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস,২৫ তারিখ ছিল ৪২ দশমিক ২ সেলসিয়াস, ২৬ তারিখে ছিল ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ,২৭ তারিখ ছিলো ৪২দশমিক ৬ সেলসিয়াস ও ২৯ তারিখে ছিলো ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। আজ সে সব রেকর্ড ভেঙ্গে তাপমাত্রার নতুন রেকর্ড তৈরি হলো।
চুয়াডাঙ্গা জেলায় অতি তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন অস্থির হয়ে উঠেছে। মানুষের জীবনযাত্রা অস্বস্তি বিরাজ করছে। প্রচণ্ড গরম থেকে রেহাই পেতে মানুষ গাছের ছায়ায় বসে থাকছে। কেউ কেউ পান করছে ফুটপাতের অস্বাস্থ্যকর পানীয়।
চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বেলা ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো১২ শতাংশ। এ দিন দুপুর ১২টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস,এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৪ শতাংশ এবং সকাল ৯টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো ৫৬ শতাংশ। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অনেক বেশী থাকায় গোটা জেলায় ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) পর্যন্ত তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। বুধবার (১ মে) থেকে ধিরে ধিরে তাপমাত্রা কমতে থাকবে বলে তিনি জানান
স্বাআলো/এস