বাগেরহাটের পল্লীতে প্রকল্প কাজ তদারকি করতে এসে কেন্দ্রে সংবাদ কর্মীদের উপস্থিতি দেখে দ্রুত পালিয়ে গেছে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মনিটরিং কর্মকর্তা ও বেসরকারী সংস্থা সুখী মানুষের কর্তা ব্যক্তিরা।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বাগেরহাট সদর উপজেলার ডেমা ইউনিয়নের একটি উপানুষ্টানিক শিখন কেন্দ্রে ঘটনাটি ঘটেছে। যা নিয়ে স্থানীয় ও প্রর্তক্ষ্যদর্শীদের মধ্যে ব্যপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, বাগেরহাটে বেসরকারী সংস্থা সুখী মানুষের প্রকল্প কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও আর্থিক দুর্নীতির ঘটনা প্রকাশ পাওয়ায় উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক ডঃ আবুল কালাম আজাদ গত ২১ সেপ্টেম্বর এক পত্রে বাগেরহাট জেলার ৮ উপজেলায় সুখী মানুষ এর কার্যক্রম মনিটরিং এর জন্য আটকজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব প্রদান করেন। ওই পত্র অনুযায়ী বাগেরহাট সদর উপজেলার দায়িত্ব পান বুলবুল হোসাইন নামের একজন কর্মকতা। তিনি মঙ্গলবার বিকালে বাগেরহাট সদর উপজেলার ডেমা ইউনিয়নের ডেমা দারুল কোরআন কওমী মাদরাসা ও লিল্লাহ বোডিংয়ের ভিতর স্থাপিত ডেমা উপানুষ্ঠানিক শিখন কেন্দ্রে যান। এর আগে এখানে বাগেরহাটের কয়েকজন সংবাদ কর্মী সংবাদ সংগ্রহের জন্য ওই কেন্দ্রের ভিতর অবস্থান করছিলো। সংবাদ কর্মীরা আছে জানতে পেরে মনিটরিং টিমের সদস্য বুলবুল হোসাইন , সুখী মানুষের সুপার ভাইজার ফেরদৌস পারভেজ, সুপার ভাইজার মিরাজুল ইসলাম কেন্দ্রের ভিতর থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে দ্রুত কাশিমপুর বাজারের দিকে চলে যায়। এ সময় প্রর্ত্যক্ষদর্শী রুস্তম আলী এ ঘটনা দেখে সাংবাদিকদের কাছে বিষয়টি জানতে চায় ওনারা তো ভিজিটে আইছে আপনাদের দেখে পালিয়ে গেলো কেন ? ।
এই শিখন কেন্দ্রের সিএমসি (সেন্টার ম্যানেজমেন্ট) কমিটির সভাপতি শেখ কামাল হোসেন বলেন, ১৮ মাসে একটিও সভা হয়নি আমার কাছ থেকে ৩/৪টি রেজুলেশনে বাড়ি থেকে স্বাক্ষর নিয়ে আসছে। মুলতঃ শিক্ষন কেন্দ্রের অনেক অনিয়ম থাকার কারণে সাংবাদিকদের দেখে দৌঁড়ে পালিয়ে যান মনিটরিং টিম ।
স্থানীয় জনৈক এনায়েত হোসেন বলেন, ভিজিটের আগে এরা আস পাশের বিভিন্ন বিদ্যালয় থেকে ছাত্র-ছাত্রী এনে ভিজিট করায়। সাংবাদিকদের সামনে ভিজিট করলে সব তথ্য বেরিয়ে আসবে তাই সাংবাদিক দেখে দৌঁড়ে পালিয়েছে গেছে। এ বিষয়ে মনিটরিং টিমের কারো সাথে কথা বলা যায় নি।
স্বাআলো/এসএস