ইসরাইল-হামাসের সংঘাতে উভয় পক্ষে নিহতের সংখ্যা দুই হাজার ছাড়িয়েছে। তবে গাজায় এবার ‘নিষিদ্ধ’ সাদা ফসফরাস বোমা ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে ইসরাইলের বিরুদ্ধে। যদিও ১৯৮০-জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় এই বোমা ব্যবহার নিষিদ্ধ।
ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বুধবার (১১ অক্টোবর) এক পোস্টে জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনের উত্তর গাজার কারামা এলাকায় আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ ‘সাদা ফসফরাস’ বোমা নিক্ষেপ করেছে।
ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আল-কারামার বোমা হামলার দৃশ্যসহ একটি ভিডিও এক্সে (সাবেক টুইটার) পোস্ট করেছে। তবে আল-জাজিরা তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিবেদনটি যাচাই করতে পারেনি।
সাদা ফসফরাসকে একটি ‘আগ্নেয়’ অস্ত্র হিসাবে বিবেচনা করা হয়। আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে, বেসামরিকদের মধ্যে অবস্থিত সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে এর ব্যবহার নিষিদ্ধ।
সংবাদমাধ্যম বিবিসির তথ্যানুযায়ী, সাদা ফসফসরাস সমৃদ্ধ অস্ত্র নিষিদ্ধ নয়, তবে বেসামরিক এলাকায় এর ব্যবহার যুদ্ধাপরাধ হিসেবে গণ্য হয়।
সাদা ফসফরাস এক ধরনের বিষাক্ত পদার্থ। এটি ফসফরাসেরই আইসোটোপ, যা অনেকটা মোমের মতো। অক্সিজেনের সংস্পর্শে এলেই জ্বলে ওঠে এবং উজ্জ্বল সাদা ধোঁয়ার কুণ্ডলী তৈরি করে।
বলা হয়, এটি এতই আঠালো যে কোথাও লাগলে তা মুছে ফেলা বেশ কঠিন। এমনকি ক্ষত’র মুখ থেকে ব্যান্ডেজ খোলার পর অক্সিজেনের সংস্পর্শে এলে ফের সেখানে আগুন জ্বলে উঠতে পারে। কেবল ত্বকই নয়, শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে শরীরের ভেতরেও প্রবেশ করে সাদা ফসফরাস।
স্বাআলো/এসএস