নোয়াখালীর চাটখিলে আলোচিত শিশু পেহা আক্তার হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় জড়িত বাবা-ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নিহত পেহা আক্তার (৭) উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের জষড়া গ্রামের ফারুক হোসেনের মেয়ে।
সে স্থানীয় একটি মাদরাসার প্রথম জামাতের ছাত্রী ছিলো।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলের দিকে গ্রেফতারকৃতদের আসামিদের নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে।
এর আগে, ২৬ নভেম্বর বিকেলে সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের জষড়া গ্রামের মোল্লা বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। পরে একই দিন রাত ১১টার দিকে পুলিশ জষড়া গ্রামের মোল্লা বাড়ি সংলগ্ন এলাকার একটি পুকুর পাড় থেকে নিহত শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের জষড়া গ্রামের মোল্লা বাড়ির আব্দুস সাত্তার (৭০) ও মিজানুর রহমান সেন্টু (৩০)।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বলেন, ১৫ দিন আগে গ্রেফতারকৃত সেন্টুর মেয়ে তানহার সাথে খেলাধুলা করার সময় মারামারি হয় নিহত পেহার। এ ঝগড়ার জের ধরে সেন্টু পেহাকে তার বাড়িতে মারতে যায়। তখন পেহার মা মেয়েকে শাসন করার কথা বলে সেন্টুকে নিবৃত করে। এরপর রবিবার বিকেলের দিকে বাড়ির পাশে ক্ষেতে বাবাকে খোঁজ করতে যায় পেহা। ওই সময় ক্ষেতের পাশে বসা ছিলো সেন্টু। পরবর্তীতে তার বাবা দেখিয়ে দেয়ার কথা বলে পেহাকে ডেকে নেয় সেন্টু। একপর্যায়ে সে পেহাকে নির্মমভাবে হত্যাকে করে মরদেহ তার বাড়ি থেকে দূরে ফেলে দিয়ে আসে। খোঁজাখুজির একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন জষড়া গ্রামের মোল্লা বাড়ি সংলগ্ন পুকুর পাড়ে পেহার রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, ভিকটিমের মাথার এক পাশে ফোলা জখমের চিহৃ ছিলো। চোখের ডান পাশে এবং কান ও চোখের মাঝামাঝি জায়গায় গভীর কাটা জখম ছিলো। এ ঘটনায় পেহার বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় গ্রেফতারকৃত দুই আসামিকে বিচারিক আদালতে সোপর্দ করা হবে।
স্বাআলো/এস