চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার পিরোজখালী গ্রামে মা জবেদা খাতুনকে (৫০) হত্যার দায়ে ছেলে মুকুল হোসেনকে (২৮) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জিয়া হায়দার এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলার একমাত্র আসামি ছেলে মুকুল হোসেনের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করা হয়।
চুয়াডাঙ্গার পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) বেলাল হোসেন জানান, এ মামলায় নিহত জবেদা খাতুন সদর উপজেলার পিরোজখালী গ্রামের আসান আলীর স্ত্রী। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মুকুল হোসেন নিহত জবেদা খাতুনের ছেলে। ২০২১ সালের ১৩ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নিজেদের বাড়িতে মা জবেদা খাতুনকে ছেলে মুকুল হোসেন ধারালো হাসুয়া দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করে। জমি নিয়ে বিরোধের কারণে এ হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয় বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় নিহত জবেদা খাতুনের ভাই সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র গ্রামের আলাউদ্দিন ঘটনার দিনই মুকুল হোসেনকে আসামি করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হাসানুজ্জামান ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর মামলার একমাত্র আসামি মুকুল হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় মোট ২১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জন সাক্ষীকে পরীক্ষা করে সাক্ষ্য প্রমাণে ছেলে মুকুল হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামি মুকুল হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
স্বাআলো/এস
