বিএনপি অবরোধ চলাকালে বাগেরহাটের রামপাল উপজেলায় রাস্তার পাশে রাখা একটি যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বিএনপি দলীয় ১০ নেতাকর্মীকে করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) তাদের বাগেরহাট আদালতে প্রেরণ করা হয়।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) রাতে রামপালের ফয়লাহাট এলাকায় রাস্তায় পাশে রাখা একটি বাসে দুবৃর্ত্তরা আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় বাসের মালিক খুলনার রূপসার সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে বুধবার রাতে রামপাল থানায় একটি মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর রামপাল থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১০ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে।
বাগেরহাটে যাত্রীবাহী বাসে আগুন
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, রামপাল উপজেলার কাপাসডাঙ্গা গ্রামের গাজী মুজিবর রহমান (৬৮), উপজেলার তালবুনিয়া গ্রামের ইব্রাহিম শেখ (৩০), শ্রীরম্ভা গ্রামের হেমায়েত শেখ (৪৫), একই গ্রামের মোস্তফা মুন্সী (৫৫), কুমলাই গ্রামের আল মুসাব্বির ওরফে সাব্বির (২২), হোগলডাঙ্গা গ্রামের আল মিরান (২৩), সোনাতুনিয়া গ্রামের তরিকুল ইসলাম শিমুল (৩০), কাপাসডাঙ্গা গ্রামের এসকেন্দার শেখ (৩৮), ধলদাহ গ্রামের মাহাতাব মোড়ল (৬৫) ও সন্তোষপুর গ্রামের আব্দুল্লাহ শেখ (৩৭)।
এ ১০ জনের মধ্যে আটজন বিএনপির নেতাকর্মী। মামলা বাদীর অভিযোগে বরাত দিয়ে রামপাল থানা পুলিশ মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার খুলনা মোংলা মহাসড়কের ফয়লাস্থ জনৈক বাবুল কাজীর রাইস মিলের সামনে রাস্তার পাশে রাখা যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
এজাহারে বাদী সাইফুল ইসলাম উল্লেখ করেন, মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) রাত ৯টায় তার রেজিষ্ট্রেশনকৃত (ঢাকা মেট্রো জ-১১-১১০৬) বাসটি রাস্তার পাশে সাইড করছিলো। ওই সময় দুর্বৃত্তরা পেট্রোল ঢেলে বাসটিতে অগ্নিসংযোগ করে। এতে তার তিন লাখ ৬৫ হাজার টাকার ক্ষতি হয়।
রামপাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম আশরাফুল আলম জানান, গাড়ির মালিক এজাহার দাখিলের পর বুধবার রাতে এজাহারনামীয় আসামিদের অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়। আটককৃতদের বৃহস্পতিবার বাগেরহাটের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। অপর আসামিদের আটকের জোর চেষ্টা চলছে।
স্বাআলো/এস