ঢাকার বায়ু দূষণের মান অস্বাস্থ্যকর

সম্পাদকীয়: দূষণ মাত্রার দিক বায়ুদূষণের থেকে তালিকায় রাজধানী ঢাকার অবস্থান পঞ্চম। ঢাকার দূষণমাত্রার স্কোর হচ্ছে ১৭১ অর্থাৎ এখানকার বায়ুর মান অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। শীর্ষে উঠে এসেছে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই।

শনিবার (১৬ মার্চ) সকাল ৮টা ১৮ মিনিটে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক থেকে জানা গেছে এ তথ্য। স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়।

বায়ুদূষণ মাত্রায় ঢাকার অবস্থান আজ পঞ্চম, বায়ুর মান অস্বাস্থ্যকর

স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বায়ু দূষণের কারণে শ্বাসকষ্ট, ক্যানসার, স্নায়ুজনিত সমস্যা বেড়ে যায়। ফুসফুসে সংক্রমণ, সর্দিকাশি ও চোখের
রোগ বুদ্ধি পায়। বায়ু দূষণের কারণে এশিযায় প্রতিবছর মারা যায় ২৬ লাখ মানুষ এবং বাংলাদেশে মারা যায় পৌণে দুই লাখ।

বিষয়টি বিবেচনায় এনে মানুষ বাঁচাতে যা যা করার দরকার তা দৃঢ় পদক্ষেপে করতে হবে। বায়ু দূষণ রোধে সব ধরনের নির্মাণ (অবকাঠামো ও ভবন) কর্মকাণ্ড কঠোর নজরদারিতে আনতে হবে। ঢাকার পরিবেশ ও নগরের ভারবহন ক্ষমতাকে বিবেচনায় নিয়ে কেন্দ্রীয় অঞ্চলে অবকাঠামো ও ভবন নির্মাণে কার্যকর ও যথাযথ নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন।

বায়ুদূষণ রোধে ১২ নির্দেশনা দিয়েছে সরকার

এছাড়া অবকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন শ্রেণি নির্ধারণের মাধ্যমে শুধু অতি জরুরী ও দূষণে ন্যুনতম প্রভাব রাখবে এমন শ্রেণির অবকাঠামো প্রকল্প গ্রহণ, অবকাঠামো নির্মাণে যুক্ত ঠিকাদারদের বায়ুমানের নিয়মিত রিপোর্ট জমা দেয়ার নীতি গ্রহণ, যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর উদ্যোগ, ফিটনেসবিহীন গাড়ি বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় তদারকি এবং ভবনে এসির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ, নগরে মানসম্মত পাবলিক বাস, প্যারাট্রানজিট ও গণপরিবহন বৃদ্ধির আশু উদ্যোগ গ্রহণ, ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ করে বক ইট ব্যবহারের সরকার ঘোষিত নির্দেশনার বাস্তবায়নে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ, ঢাকার চারপাশে পরিকল্পনামাফিক সবুজ এলাকা ও সবুজ বেষ্টনি তৈরি করতে হবে। পরিবেশ আইনের যথাযথ বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহকে শক্তিশালী করা এবং এক্ষেত্রে যথাযথ নজরদারি ও দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ কর্মকর্তাদের আইনের আওতায় আনা।বায়ু দূষণরোধে সংস্থার প্রস্তাবগুলো বিবেচনা করা যেতে পারে।

স্বাআলো/এসআর

Share post:

সাবস্ক্রাইব

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

সর্বাধিক পঠিত

আপনার জন্য প্রস্তাবিত
Related

ডেঙ্গু চোখ রাঙাচ্ছে : সতর্কতা প্রয়োজন

সম্পাদকীয়: চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু। বছরের প্রথম চার মাস ডেঙ্গুরর...

অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি

সম্পাদকীয়: অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে, ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব...

পরিবেশ রক্ষার বিষয়টি দেখবে কে

সম্পাদকীয়: পলিথিনে সয়লাব সাতক্ষীরার পাইকগাছা হাট বাজার। ওই সব...

মহান মে দিবস

সম্পাদকীয়: ফরাসী বিপ্লবের শতবার্ষিকীতে ১৮৯০ সাল থেকে শিকাগো প্রতিবাদের...