চিনি আমদানিতে কাস্টমস শুল্ক অর্ধেক কমানো হয়েছে। বর্তমান বাজারে এর কোনো প্রভাব নেই। খোলা চিনির দাম আরো বেড়েছে।
বুধবার (৮ নভেম্বর) প্রতি কেজি চিনি প্যাকেটজাত ১৩৫ টাকা এবং খোলা ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চিনির এই উচ্চ দামের রাশ টানতে এ বছর সরকার বেশ কয়েকবার শুল্ক ছাড়সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিলেও শেষমেশ তেমন কোনো কাজ হয়নি।
এবার অপরিশোধিত চিনির আমদানি শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি টনে এক হাজার ৫০০ টাকা। এছাড়া কাস্টমস শুল্ক আগে ছিলো তিন হাজার টাকা আর অন্যান্য চিনির শুল্ক ছিলো ছয় হাজার টাকা। বর্তমানে চিনি আমদানিকারকদের ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ৩০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক ও ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর ছাড়াও প্রতিটন চিনিতে নির্দিষ্ট তিন হাজার টাকা কর দিতে হয়। সেটা কমিয়ে এবার এক হাজার ৫০০ টাকা করা হয়েছে।
সব মিলিয়ে প্রতি কেজি চিনি ভোক্তার হাতে যাওয়া পর্যন্ত মোট কর আরোপিত হয় ৬০ শতাংশের ওপর, টাকার অংকে যা ৪০ থেকে ৪২ টাকা। এখন শুল্ক কমানোর পর আমদানি পর্যায়ে অপরিশোধিত ও পরিশোধিত চিনির সামগ্রিক আমদানি ব্যয় যথাক্রমে প্রতি টনে সাড়ে ছয় হাজার টাকা ও ৯ হাজার টাকা কমে যাওয়ার কথা।
এরপরও চিনির দাম কমার লক্ষণ নেই। বরং পাইকারি বাজারে চিনির দাম প্রতি মণে বেড়েছে ১৩০ টাকা বা ৩ শতাংশ। পাইকারি বাজারের প্রতি মণ চিনি (৩৭ দশমিক ৩২ কিলোগ্রাম) চার হাজার ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা এক সপ্তাহ আগে ছিলো তিন হাজার ৯৫০ টাকা।
এদিকে খুচরা বাজারে এখনো পর্যাপ্ত চিনি পাওয়া যাচ্ছে। অনেক দোকানেই খোলা চিনি নেই। আবার কোথাও খোলা চিনি আছে প্যাকেট নেই।
স্বাআলো/এস