আগামীতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ হবে। বাতিল হচ্ছে নিবন্ধন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ।
নতুন এ আইন মন্ত্রিপরিষদের অনুমোদন পেয়ে সংসদে পাস হয়ে এলে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের আর সনদ দেয়া হবে না। তার বদলে উত্তীর্ণদের একটি তালিকা করা হবে। শিক্ষার অধিদফতরগুলো থেকে শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহ করে সেসব পদে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের আবেদন নেয়া হবে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উত্তীর্ণ প্রার্থীরা নিয়োগ সুপারিশ পাবেন। আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ সুপারিশপ্রাপ্তদের নিয়োগ দেবে।
এনটিআরসিএ আইন ফের সংশোধন করে এসব প্রক্রিয়া অন্তর্ভুক্ত করার কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। শিক্ষা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে।
প্রাথমিকে প্রথম ধাপের শিক্ষক নিয়োগ জানুয়ারির মধ্যে
২০১৫ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক পরিপত্রে এনটিআরসিএকে বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের জন্য প্রার্থী বাছাইয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়।
সম্প্রতি এনটিআরসিএ আইন সংশোধন করে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষমতা এনটিআরসিএকে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়। বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করে নতুন আইনের একটি খসড়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়। খসড়াটি পর্যালোচনা করে কেবিনেট ডিভিশন আরো কিছু অংশ সংস্কারের পর্যবেক্ষণ দিয়েছে। খসড়া আইনে প্রার্থী বাছাইয়ের আইনি ক্ষমতা এনটিআরসিএকে দেয়ায় প্রত্যয়ন বা সনদ দেয়ার প্রক্রিয়া উঠিয়ে দেয়ার বিষয়টি এসেছে।
এ বিষয়ে এনটিআরসিএর কর্মকর্তা জানান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সংশোধিত খসড়ার বিষয়ে কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়েছে। সেগুলো অন্তর্ভুক্ত করে ফের আইনের খসড়া করে তা কেবিনেটে পাঠানো হবে। এমনটাই আলোচনা হয়েছে ওই সভায়।
সর্বজনীন পেনশন তহবিলের ১১ কোটি ৩১ লাখ টাকা বিনিয়োগ
তিনি আরো বলেন, তবে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা হবে আগের মতোই। প্রিলিমিনারি, লিখিত ও পরে মৌখিক পরীক্ষা নেয়া হবে। তবে সাবজেক্টের বিপরীতে নয়, পদের বিপরীতে নিবন্ধন করা হবে। এ ক্ষেত্রে যারা উত্তীর্ণ হবেন তাদের একটি মেধাতালিকা হবে, আদলতেরও এমন একটি নির্দেশনা আছে। পরে অধিদফতরগুলো থেকে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। ওইসব পদে উত্তীর্ণ হয়ে মেধা তালিকায় স্থান পাওয়া প্রার্থীদের কাছ থেকে আবেদন নেয়া হবে ঠিক যেমনটি এখন হয়।
স্বাআলো/এস