লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার পানবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওয়ালিউর রহমান সোহেলের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জালিয়াতি ও দীর্ঘদিন বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটি রবিবার বিকেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখেছে। যদিও শিক্ষা কর্মকর্তা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক ওয়ালিউর রহমান গত ২ আগস্ট থেকে বিনা অনুমতিতে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন। এছাড়া টাকা আত্মসাৎ, গুরুত্বপূর্ণ নথি গায়েবের কারণ দর্শাতে পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তে গত ৩১ আগস্ট ও ৫ অক্টোবর দুই দফায় নোটিশ দেয়া হয়েছে। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও কুচিলবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান হামিদুল হক স্বাক্ষরিত এ নোটিশ দেয়া হয়।
গত ৭ সেপ্টেম্বর প্রধান শিক্ষক ওয়ালিউর রহমান সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে নিজেরসহ শিক্ষক-কর্মচারীদের আগস্ট মাসের বেতন-বিল তোলেন। এ বিষয়ে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ দেন পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হামিদুল হক।
অভিযোগ তদন্তে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল বারীর নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের কমিটি রবিবার বিকেলে বিদ্যালয়ে অভিযোগ খতিয়ে দেখে। তদন্ত টিমের প্রধান চিঠি দিয়ে প্রধান শিক্ষক ওয়ালিউর রহমান সোহেলকে উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেন। তবে তিনি উপস্থিত হননি। এ সময় বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি, সদস্য ও শিক্ষক-কর্মচারীরা ছিলেন।
এ বিষয়ে পানবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওয়ালিউর রহমান সোহেল বলেন, স্বাক্ষর জালিয়াতির ঘটনা সাজানো। আমাকে ফাঁসানোর জন্য একটি মহল অপকৌশল চালাচ্ছে। আমি চিকিৎসার জন্য বাইরে। লিখিত আবেদন বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে দেয়া হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি হামিদুল হক বলেন, প্রধান শিক্ষক ওয়ালিউর রহমান চলতি বছরের টিউশন ফির সাড়ে তিন লাখ টাকা ব্যাংকে না রেখে আত্মসাৎ করেছেন। দীর্ঘদিন বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত, গুরুত্বপূর্ণ নথি গায়েব ও স্বাক্ষর জাল করেছেন। এ বিষয়ে অভিযোগ দেয়ার পাশাপাশি তদন্ত কমিটিকে প্রয়োজনীয় তথ্য দেয়া হয়েছে।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল বারী বলেন, তদন্তের প্রতিবেদন প্রকাশ করতে সময় লাগবে। অপরাধ প্রমাণিত হলে সাজা হবে।
স্বাআলো/এস