সম্পাদকীয়: কিশোর গ্যাং মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী আবারো নির্দেশনা দিয়েছেন। স্বরাষ্ট্র ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে এবার বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
৮ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী দেশে কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে অভিভাবক, শিক্ষকদেরকে সম্পৃক্ত করে তাদেরকে সংশোধনের পরিবেশ তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন । কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদেরকে দাগি আসামির সঙ্গে না রেখে, তাদের সংশোধনাগারে আলাদা রেখেই কাউন্সিলিং করতে হবে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী দেশে সংশোধনাগারের সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশনাও দিয়েছেন।
চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও ছিনতাইসহ নানা অপরাধে জড়িত কিশোর গ্যাং। এসব অপরাধীদের গোড়া থেকে ধরার নির্দেশ নির্দেশ আছে প্রধানমন্ত্রী। সারা দেশের ‘কিশোর গ্যাং’ নিয়ে পুলিশ প্রতিবেদন তৈরি করেছিলো ২০২২ সালের শেষে। তাতে বলা হয়, সারা দেশে অন্তত ১৭৩টি কিশোর গ্যাং রয়েছে। বিভিন্ন অপরাধে এদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে ৭৮০টি। এসব মামলায় আসামি প্রায় ৯০০ । দেশে কিশোর গ্যাংগুলো এক দিনে গড়ে ওঠেনি। শহরে মানুষের নিরাপদ বসবাসের ক্ষেত্রে বড় হুমকি হয়ে উঠেছে।
এর আগেও কিশোর গ্যাং দমনে নির্দেশ দেন। তাঁর নির্দেশের পর কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের আটক শুরু হয়। মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে স্বস্তি সৃষ্টি হয়। এ নির্দেশ যথাযথভাবে কার্যকর হোক দেশবাসী এ কামনা করেন। দেশের শহরে কিশোর অপরাধ ও গ্যাং-কালচার ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এসব গ্যাংয়ের সদস্যরা শুধু অপরাধই করে না, আধিপত্য বজায় রাখতে পরস্পরের সাথে সংঘর্ষেও জড়ায়। সমাজবিজ্ঞানী ও পুলিশের ভাষ্যমতে, কিশোরদের মধ্যে সিনিয়র-জুনিয়র দ্বদ্বে প্রথম বিরোধ ও জোট বাঁধার প্রবণতা তৈরি হয়। সেখান থেকে গড়ে ওঠে গ্যাং।
সারা দেশে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসায়, জমি দখলে সহায়তা, ইন্টারনেট সংযোগ, ক্যাবল টিভি (ডিশ) ব্যবসায় ও ময়লা-বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ, উত্ত্যক্ত করা, যৌন হয়রানি করা, হামলা, মারধরসহ নানা অপরাধে জড়িত।
স্বাআরো/এস