স্পোর্টস ডেস্ক: সিলেট টেস্টে লঙ্কারদের দেয়া ২৮০ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ইনিংসে লঙ্কানদের ১৮৮ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫ উইকেটে ১১৯ রান তুলেছে সফরকারীরা। এতে ২১১ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষে চালকের আসনে বসেছে শ্রীলঙ্কা।
শনিবার (২৩ মার্চ) দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটা ভালো হয়নি সফরকারীদের। ২০ বলে ১০ রান করে অভিষিক্ত নাহিদ রানার বলে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার নিশান মাদুশকা। ১০ বলে তিন রান করে রানার দ্বিতীয় শিকার হন কুশল মেন্ডিস।
তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে রান তুলতে থাকে আরেক ওপেনার দিমুথ কারুনারত্নে। তাকে সঙ্গে দেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি ম্যাথিউস। ২২ বলে ২৪ রান করে তাইজুলের প্রথম শিকার হন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। শূন্য রানে দিনেশ চান্দিমালকে আউট করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এতে দলীয় ৬৪ রানে চার উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা।
তবে ডি সিলভাকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন কারুনারত্নে। ১০১ বলে ৫২ রান করে আউট হন এই বাঁহাতি ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১১৯ রানে দিন শেষ করেছে লঙ্কানরা। ৪১ বলে ২৩ রান করে ডি সিলভা এবং ২ রানে অপরাজিত রয়েছেন ফার্নান্দো।
বাংলাদেশের হয়ে এই ইনিংসে দুই উইকেট শিকার করেন নাহিদ রানা। এ ছাড়াও শরিফুল ইসলাম, তাইজুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজ একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে সাত উইকেট হাতে নিয়ে ২৪৮ রানে পিছিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশন খুব একটা ভালো কাটেনি শান্ত-লিটনদের। দলীয় শতরান পার হওয়ার আগেই পাঁচ উইকেট হারায় টাইগাররা।
মাহমুদুল হাসান জয় (১২), লিটন দাস (২৫) এবং শাহাদাত হোসেন দিপুদের (১৮) ব্যাটিং ব্যর্থতার দিনে একাই প্রতিরোধ গড়েছিলেন তাইজুল ইসলাম। এই স্পিনারের ফিফটি না পাওয়ার আক্ষেপ (৪৭ রান) এবং শেষদিকে দুই পেসার খালেদ এবং শরিফুলের ৪০ রানের জুটিতে হওয়ার আগে স্কোরবোর্ডে ১৮৮ রান জড়ো করে লাল-সবুজেরা।
২১ বলে ১৫ রান করে আউট হন শরিফুল ইসলাম। এরপর ২৮ বলে ২২ রান করে খালেদ আউট হলে ১৮৮ রানে থামে টাইগারদের প্রথম ইনিংস।
লঙ্কানদের হয়ে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নেন ফার্নান্দো। এ ছাড়া রাজিথা ও লাহিরু কুমারা তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন।
স্বাআলো/এস