সম্পাদকীয়: নোয়াখালী, মুন্সিগঞ্জ, মাদারীপুর ও গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরো কয়েকজন। ৩ মে রাত ও ৪ মেসকালে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ট্রাকচাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার চার যাত্রী নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন, চন্দ্রগঞ্জ থানার লতিফপুর গ্রামের রহমত উল্যাহ ভূঁইয়া (৬৫), সেনা সদস্য ফজলুল করিম (৫০) ও লক্ষীপুরের আমানিয়া গ্রামের আলাউদ্দিন (৪৫)। এ ছাড়া আরো একজনের পরিচয় জানা যায়নি।
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কাভার্ডভ্যানের চাপায় প্রাইভেটকারে থাকা বাবা-ছেলেসহ একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন।
দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো দুইজন। মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায় ট্রাকচাপায় ইজিবাইকের দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। গাজীপুরের শ্রীপুরে ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষে দুই নির্মাণ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরো ১১ শ্রমিক আহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন, সুনামগঞ্জের রাসেল মিয়া (২৫) ও তার জামাতা আবু সুফিয়ান (২৫)।
দুর্ঘটনায় প্রাণহানি এখন নিত্যদিনের চিত্র। সড়কে দুর্ঘটনা মহামারী থামছে না। স্বজন হারানোর বেদনা কতটুকু তা যারা এ ব্যথায় ব্যথিত তারা ছাড়া আর কেউ অনুভব করতে পারবে না। যানবাহনের আঘাতে যে মৃত্যু হচ্ছে তা প্রতিরোধে সরকারের পক্ষ থেকে কোন উদ্যোগ নেই। পথ চলতে আমরা এত বেপরোয়া যে অসতর্ক হলে দুর্ঘটনার মাধ্যমে প্রাণ শেষ হতে পারে তা কেই খেয়াল করে না। এজন্য ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার জন্য কেউ কারো ওপর দোষ না চাপিয়ে সবাইকে সতর্ক হওয়া উচিত। প্রতিদিন সংবাদপত্রের পাতা উল্টালে কোথাও না কোথাও সড়ক দুর্ঘটনায় একাধিক মানুষের প্রাণহানির খবর চোখে পড়ে। দুর্ঘটনার মাধ্যমে প্রাণ শেষ হতে পারে তা কেই খেয়াল করে না।
বড় একটি যানের আঘাতে মৃত্যু ঘটে সম্পূর্ণ অসচেতনতার কারণে। দুর্ঘটনার কারণে প্রচলিত ধারায় পরিবহণ শ্রমিকদের এককভাবে দায়ী করা হয়। কিন্তু আসলে শ্রমিকরা শুধু দায়ী নয়। এজন্য ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার জন্য কেউ কারো ওপর দোষ না চাপিয়ে সবাইকে সতর্ক হওয়া উচিত।
স্বাআলো/এস