চট্টগ্রামের বঙ্গবন্ধু টানেল পাল্টে দেবে পুরো দক্ষিণ চট্টগ্রামকে। এটি চালু হলে যোগাযোগ ব্যবস্থায়ই নতুন মাত্রা যোগ করছে না, পর্যটন ক্ষেত্রেও যোগ হবে নতুন মাত্রা। ইকোনমিক জোনসহ শিল্প কারখানায় অঞ্চলটি সমৃদ্ধ হয়ে চীনের সাংহাইয়ের মতো বদলে যাবে বাংলাদেশের অর্থনীতি। কর্মসংস্থানের পাশাপাশি যোগাযোগব্যবস্থায় আসবে ব্যাপক পরিবর্তন।
টানেলের আনোয়ারা প্রান্তে দেখা যায়, এটি চীনের সাংহাইয়ের আদলে ওয়ান সিটি টু টাউন মডেল আনোয়ারা ও কর্ণফুলিকে উপশহর করে গড়ে তোলার সম্ভাবনার সব দুয়ার খুলে দিয়েছে। এরই মধ্যে ওয়াই জংশন থেকে কালাবিবির দিঘি পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ ছয় লেনের সড়কের কাজ প্রায় শেষ। সংযোগ সড়কের দুই পাশে গড়ে উঠছে ছোট-বড় শিল্প-কারখানা। হু-হু করে আশপাশের জায়গার দাম বেড়ে গেছে চার পাঁচগুণের বেশি। সৃষ্টি হচ্ছে বহু কর্মসংস্থান।
চট্টগ্রামে কর্ণফুলী টানেলসহ ২০ প্রকল্প উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
স্থানীয়রা জানান, বঙ্গবন্ধু টানেলের কারণে এখানে নতুন নতুন ছোট-বড় শিল্প-কারখানা গড়ে উঠছে। এতে অনেক যুবকের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হচ্ছে। সেই সঙ্গে মানুষের জীবনযাত্রার মানও পরিবর্তন হচ্ছে।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এখানে আসবেন এবং নতুন নতুন শিল্প-কারখানা গড়ে উঠবে। বিশেষ করে কয়েক লাখ বেকার যুবকের কর্মসংস্থান হবে।
কর্ণফুলী নদীর ১৮-৩১ মিটার নিচ দিয়ে চলবে গাড়ি, উদ্বোধন এ মাসেই
ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম জানান, আনোয়ারা প্রান্তে আগেই গড়ে ওঠেছে কোরিয়ান ইপিজেড, সিইউএফএল, কাফকোসনসহ নানা শিল্প কারখানা। ৭৩০ একর জায়গায় গড়ে উঠছে চায়না ইকোনমিক জোন। টানেলটি শহরের সঙ্গে দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে কানেক্টিভিটি বাড়াবে।
টানেলটি আগামী শনিবার (২৮ অক্টোবর) উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দীর্ঘ ৩.৪ কিলোমিটারের এ টানেলটি পার হওয়া যাবে মাত্র ৫ মিনিটে।
স্বাআলো/এসএস