যশোরের মণিরামপুর উপজেলার হায়াতপুর-শাহপুর মাঠে অবস্থিত গোল্ড ব্রিকস নামের ইটভাটা সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ৩ অক্টোবর ভাটায় অভিযান পরিচালনা করে পরিবেশ অধিদফতর। ভাটাটি অনুমোদন ছাড়াই দীর্ঘদিন চালানো হচ্ছে।
ওই ভাটা এলাকার সবজি চাষীরা জানান- ভাটার কালো ধোয়া, গরম হাওয়া ও ধুলাবালির কারণে সবজি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। হায়াতপুর-শাহপুর মণিরামপুর উপজেলার বৃহৎ সবজি এলাকা। ওই মাঠে ১৭ বিঘা জমি নিয়ে ভাটাটি করা হয়েছে।
ভাটা সম্পর্কে প্রতিনিয়ত যেসব খবর পাওয়া যাচ্ছে তাতে আইন বলে যে এটা জিনিস আছে তা ভাটায় মানা হয় বলে মনে হয় না। কৃষি জমির পাশে ছাড়াও কৃষি জমিতে তো ভাটা স্থাপন করা হয়েছেই, তারপরও অভিযোগ রয়েছে ভাটাগুলো লোকালয়ে অবস্থিত। ভাটা পরিচালনার জন্য কতোগুলো নিয়ম-নীতি সরকার নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু সেসব নিয়ম-নীতি ভাটা মালিকরা মোটেই পরোয়া করছে না। পরিবেশ অধিদফতর থেকে যে শর্ত আরোপ করা হয়েছে তার প্রায় শতভাগ তারা মানে না। কৃষি জমিতে ও কৃষি জমির পাশে ভাটা স্থাপন করা যাবে না। লোকালয় থেকে তিন কিলোমিটার দূরে ভাটা হতে হবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে অনেক ক্ষেত্রে বাড়ির উঠান লাগোয়া ভাটা চলছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সড়ক-মহাসড়ক, রেলপথ থেকে ভাটা দূরে হতে হবে। কিন্তু এক রকম বলা যায় সড়কে, মহাসড়ক ও রেলপথের ওপরেই অনেক ভাটা দিব্বি চলছে। ভাটার ইট মাটি বালি প্রভৃতি বহনের গাড়িগুলো হতে হবে নিদ্রি এবং বহনের সময় তা আবৃত করে রাখতে হবে। যাতে ধুলা-বালি উড়ে বা পড়ে পরিবেশ নষ্ট না করে। কিন্তু তার একটিও মানা হয় না। যে ট্রাকটি সড়কে চলার অনুপোযোগী হয়ে লক্কড়-ঝক্কড় হয়ে যায় সেই ট্রাকটি সড়ক থেকে সরিয়ে ভাটায় দেয়া হয়। এসব ট্রাক ভাটার মালামাল বহনের সময় পরিবেশের সর্বনাশ করে।
শুধু রাজগঞ্জ এলাকার ভাটা নয়, বিভিন্ন ন্থানে হাজার হাজার ভাটা বেআইনিভাবে চলছে। এসব ভাটার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মানুষ বাঁচাতে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
স্বাআলো/এস