দেড় মাসেও যশোরে কাঠ ব্যবসায়ী মাসুদ রানা হত্যা রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। পাশাপাশি এই হত্যার পরিকল্পনাকারী ও অর্থযোগান দাতাদেরও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
ফলে মামলাটি ডিবি পুলিশে তদন্তের জন্য পুলিশ সুপারের (এসপি) কাছে আবেদন করেছেন বাদী খাদিজা পারভীন।
এদিকে এই হত্যা মামলাটি ভিন্নখাতে নিতে একটি মহল নানা ধরণের ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে বলে পরিবার দাবি করেছে।
উল্লেখ্য, গত ২৩ আগস্ট যশোর সদর উপজেলার গাইদগাছি গ্রামের পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কাঠ ব্যবসায়ী মাসুদ রানাকে পিটিয়ে হত্যা করে একটি সন্ত্রাসী চক্র। নিহত মাসুদ রানা সদর উপজেলার বসুন্দিয়া মোড়ের গ্রামের বিশিষ্ট কাঠ ব্যবসায়ী মৃত সোহরাব হোসেনের ছোট ছেলে।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, একই উপজেলার গাইদগাছি গ্রামে মাসুদ রানার পৈত্রিক বাড়ি। মাঝেমধ্যে সেখানে যাতায়াত করতেন তিনি। গাইদগাছি এবং অভয়নগর উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম বনগ্রাম পাশাপাশি। বাবু, মুরাদ, পিন্টু, রাজু, শিমুল, ফরহাদ, শামিম, মোশারফ হোসেন, হাফিজুর রহমান ও জাকির এলাকায় মাটির ট্রলি, নসিমন, করিমন, ইজিবাইকসহ বিভিন্ন সেক্টর থেকে চাঁদাবাজি করাই তাদের মূল পেশা। পৈত্রিক বাড়িতে যাওয়া-আসার মাঝে ওই সকল লোকজনদের বিভিন্ন অপরাধ অপকর্ম মাসুদ রানার চোখে পড়ে। ফলে তাদের অপকর্মে মাসুদ রানা মাঝেমধ্যে বাধা হয়ে দাড়ায়। এতে তারা মাসুদের ওপর চরমভাবে ক্ষীপ্ত হয়।
যে কারণে তারা এবং স্থানীয় কিছু লোকজনের পরিকল্পনা ও সহযোগিতায় মাসুদ রানাকে হত্যার সুযোগ খুঁজতে থাকে বাবু, মুরাদ, পিন্টু, রাজু, শিমুল, ফরহাদ, শামিম, শরীফ, মোশারফ হোসেন, হাফিজুর রহমান ও জাকির। ওই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গত ২৪ আগস্ট রাতে এলাকার জুলফিকার আলীর মাধ্যমে একটি সালিশের কথা বলে মাসুদ রানাকে বাড়ি থেকে ডেকে গাইদগাছি গ্রামে নিয়ে যায়। সেখানে যাওয়ার পরে ওই সকল লোকজন পিটিয়ে ও কুপিয়ে তাকে হত্যা করে।
এই ঘটনার মামলায় একজন আটক ও আরো চারজন আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা তাদের কাছ থেকে আজও হত্যা রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি। সে কারণে বুধবার (১১ অক্টোবর) মামলাটি সঠিকভাবে তদন্তের জন্য জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কাছে হস্তান্তরের দাবি জানিয়ে পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন করেছেন বাদী নিহত মাসুদের মা খাদিজা পারভীন।
স্বাআলো/এসএস