তাপপ্রবাহে গলছে যশোর সড়কের পিচ, তদন্তে দুদক

যশোরে দাবদাহে পিচ গলা সড়ক তদন্তে নেমেছে দুদক। বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুর ২টায় যশোর-নড়াইল সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে তাপমাত্রাসহ বিভিন্ন আনুষঙ্গিক বিষয় পরীক্ষা করেন দুদকের কর্মকর্তারা। এসময় সড়ক ও জনপদ বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, চলতি মৌসুমে যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুই সপ্তাহ ধরে প্রচণ্ড দাবদাহের কারণে গলতে শুরু করে যশোর-নড়াইল আঞ্চলিক মহাসড়কের পিচ। এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

পরিবহন শ্রমিক, রাজনৈতিক নেতাসহ সচেতন মহলের দাবি দুর্নীতি করতে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে সড়ক নির্মাণ করায় পিচ গলে যাচ্ছে। এতে করে যানবাহন চলাচলে সমস্যায় পড়ছেন চালকরা। বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে দুদক।

যশোরে তীব্র তাপপ্রবাহে গলে যাচ্ছে সড়কের বিটুমিন, অতিষ্ঠ জনজীবন

বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নির্দেশে যশোর-নড়াইল সড়কে বিভিন্ন পয়েন্টে সড়কের গলা পিচ পরীক্ষার পাশাপাশি সড়কের তাপমাত্রা পরীক্ষা করেন দুদকের কর্মকর্তারা।

সড়ক পরিদর্শনকালে দুদক যশোরের সহকারী পরিচালক চিরঞ্জন নিয়োগী, সহকারী পরিদর্শক সাফিউল্লাহসহ সড়ক বিভাগের দুইজন সহকারী প্রকৌশলী উপস্থিত ছিলেন।

দুদকের যশোরের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক আল আমিন বলেন, কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নির্দেশে যশোর-নড়াইল সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে সড়কের গলা পিচ পরীক্ষা করেছি। বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত লিপিবদ্ধ করে আমরা প্রধান কার্যালয়ে পাঠাবো।

সড়ক বিভাগের তথ্য মতে, চার মাস আগে যশোর-নড়াইল আঞ্চলিক মহাসড়কে পাথর কার্পেটিংয়ের কাজ করা হয়। যার প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছিলো ৩৫ কোটি ৫৫ লাখ ৫৬ হাজার টাকা।

সওজ সংশ্লিষ্ট সূত্র পিচ গলার কারণ হিসেবে জানিয়েছে, তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির নিচে থাকলেও বাতাসের আর্দ্রতার কারণে অনুভূতির পরিমাণ আরও কয়েক ডিগ্রি বেশি হয়। সড়কের পিচের ওপর এ তাপমাত্রা আরও প্রায় পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি থাকে। আর কালো হওয়ায় এই পিচ সূর্যের তাপও শোষণ করে বেশি। এছাড়া সড়কে চাকার ঘর্ষণের ফলে উৎপাদিত তাপও এর সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় পিচ গলে যেতে পারে। তবে এর বাইরে সড়কের কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া বলেন, যশোর-নড়াইল সড়কের যেসব স্থানে বিটুমিনের পরিমাণ বেশি পড়েছে, গরমে সেখানে বিটুমিন গলে যাচ্ছে। এজন্য গলে যাওয়া স্থানগুলোতে বালি ও নুড়িপাথর দেয়া হচ্ছে। যাতে গলে যাওয়া পিচ পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে।

তিনি আরো বলেন, সড়কে নিম্নমানের কোনো সামগ্রী ব্যবহার করা হয়নি। দুদক তদন্ত করছে। অনিয়ম হলে তাদের তদন্তে জানা যাবে।

স্বাআলো/এস

Share post:

সাবস্ক্রাইব

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

সর্বাধিক পঠিত

আপনার জন্য প্রস্তাবিত
Related

যে তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসাব জব্দই থাকছে

ঢাকা অফিস: গত ৪ মার্চ আয়কর আইনের বিধান অনুসারে...

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ

ঢাকা অফিস: আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার...

৫৩৮ হজযাত্রীর টাকা নিয়ে এজেন্সি মালিক উধাও

ঢাকা অফিস: রিসান ট্রাভেলস ও দিয়া ইন্টারন্যাশনাল নামের দুই...

যশোরের নরেন্দ্রপুর ও বসুন্দিয়ায় চেয়ারম্যান প্রার্থী বিপুলের পথসভা

নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোর সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নে পথসভা করেছেন...