নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ার হোসেন বিপুলের দুইটি মামলায় হাইকোর্টে দেয়া জামিন নিম্ন আদালত বহাল রেখেছেন। সাইবার নিরাপত্তা আইনের মামলা জামিন যোগ্য ধারা এবং চাঁদাবাজি মামলার ফলাফল বিবেচনায় ওই জামিন বহাল রাখা হয়েছে।
বিপুলের আইনজীবী কাজী ফরিদুল ইসলাম বলেছেন, সাইবার নিরাপত্তা আইনের তিনটি ধারা জামিন যোগ্য। তাছাড়া চাঁদাবাজি মামলার ধারা জামিন অযোগ্য হলেও হাইকোর্টের আদেশ এবং মামলার ফলাফল বিবেচনায় আগামী ধার্য তারিখ পর্যন্ত জামিন দিয়েছেন আদালত।
হাইকোর্টের আগাম জামিনের মেয়ার শেষ হওয়ায় ধার্য তারিখের আগেই বুধবার (৮ মে) সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন বিপুল।
যশোরে একদিনে চেয়ারম্যান প্রার্থী বিপুলের পক্ষে লক্ষাধিক লিফলেট বিতরণ
বিচারক ইমরান আহম্মেদ আগামী ধার্য তারিখ পর্যন্ত তাকে জামিন দিয়েছেন। শহিদুল ইসলাম মিলন এবং জাহাঙ্গীর আলম নামে দুই ব্যক্তি মামলা দুইটি করেছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, চলতি বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন সাইবার নিরাপত্তা আইনসহ চাঁদাদাবি ও মানহানিকর বক্তব্য প্রদানের অভিযোগে সদর উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ার হোসেন বিপুলের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।
সদর উপজেলাকে স্মার্ট উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলবো: চেয়ারম্যান প্রার্থী বিপুল
এর আগে ১৯ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের পোর্ট থানা এলাকার ডেভেলপার ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম চাঁদাদাবির অভিযোগে যশোর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করেন। বিচারকের নির্দেশে ৩ মার্চ ওই মামলাটি নিয়মিত মামলার হিসেবে রেকর্ড করে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। ফলে দুইটি মামলায় আনোয়ার হোসেন বিপুল হাইকোর্ট থেকে আট সপ্তাহের জন্য আগাম জামিন নিয়েছিলেন।
এদিকে, ওই মামলা দুইটির ধার্য তারিখ আসার আগেই আইনকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বুধবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন আনোয়ার হোসেন বিপুল। বিচারক জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহম্মেদ শুনানি শেষে আনোয়ার হোসেন বিপুলকে আগাম জামিন দেন।
স্বাআলো/এস