সম্পাদকীয়: বিভিন্ন স্থানে ফসলিজমির মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে একটি প্রভাবশালী চক্র। তারা প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রতিদিনই মাটি কেটে নিচ্ছে।
এক্সকেভেটর দিয়ে কোনো কোনো জমির ২০ থেকে ৩০ ফুট পর্যন্ত গভীর গর্ত করেও মাটি কাটা হচ্ছে। ফলে গর্তের পাশের কৃষিজমির মাটিও ভেঙে পড়ছে।
এসব মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়। ফলে পরিবেশ ও প্রতিবেশের যেমন ক্ষতি হচ্ছে, তেমনি ফসলিজমিও কমছে।
ফসলিজমির উপরিভাগের ৬ থেকে ৮ ইঞ্চির মধ্যে মাটির জৈব উপাদান থাকে। সেই মাটি কাটা হলে জমির জৈব উপাদান নষ্ট হয়ে যায়। এতে জমি উর্বরতা শক্তি হারিয়ে ফেলে। জমির স্থায়ী ক্ষতি হয়। ফসলিজমির মাটি কাটা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। কিন্তু এ আইন মানছে না মাটি ব্যবসায়ীরা।
কেউ যদি আইন অমান্য করে ফসলিজমির মাটি কাটে তাহলে তার বিরুদ্ধে জেল-জরিমানা করার কথা। এক্ষেত্রে প্রশাসন কী করছে সেটা একটা প্রশ্ন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা দাবি করছেন, যখনই ফসলিজমির মাটি কাটার খবর পাচ্ছি, তখনই অভিযান পরিচালনা করছি। ভেকু ও লরির ব্যাটারি জব্দ
করছি।
আমরা বলতে চাই, শুধু মাটি কাটার যন্ত্র জব্দ করলে হবে না, যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের ধরতে হবে। রাঘববোয়ালদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। শুধু শ্রমিকদের ধরে জরিমানা করলে সমস্যার সমাধান হবে না।
ফসলিজমির মাটি কাটার খবর গণমাধ্যমে দেখা যায়। এসব কাজে ইটভাটা মালিকরাই বেশি জড়িত থাকে। দেশের যেসব এলাকায় ফসলিজমির মাটি কাটা হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হোক। ফসলিজমির মাটি কাটা চক্র যত ক্ষমতাশালীই হোক না কেন, তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে
হবে। সরকারকে যে কোনো মূল্যে সুষ্ঠু মাটি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে।
স্বাআলো/এস