২০১৬-১৭ অর্থবছরে আশাশুনি উপজেলার কুন্দুডিয়া-বাঁকড়ার সংযোগস্থলে মরিচ্চাপ নদীর ওপর কম প্রস্থের ব্রিজটির কারণে নদী যেমন মরে গেছে তেমনি ব্রিজটিও এখন আর জনগণের কল্যাণে আসছে না। ৫৪ লাখ ৪ হাজার ৬৫০ টাকা ব্যয়ে ৬০ ফুট দৈর্ঘবিশিষ্ট ‘বেউলা ব্রিজ’ নির্মাণ করা হয়।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, ৬০ ফুটের এই ব্রিজের কারণে নদীটি মরে যাওয়ার উপক্রম হয়। এ অবস্থায় নদীটি ১৬০ ফুট থেকে ১৮০ ফুট চওড়া করে খনন করা হয়। এতে ব্রিজটি নদী মাঝখানে পড়ায় পারাপারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। পানির চাপে দুই বছর আগে ব্রিজটি মাঝ বরাবর ভেঙেও যায়। এ সমস্যার কারণে আশাশুনি, সাতক্ষীরা সদর ও দেবহাটা উপজেলার মানুষ যোগাযোগ সংকটে পড়েছে। যানবাহন চলাচল করতে না পারায় সব ধরনের পরিবহনকে চলাচল করতে হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার ঘুরে। ব্রিজটি সংস্কারে কেউ দায়িত্ব নিচ্ছে না। এক অপরের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দায় এড়ানোর অপচেষ্টা করছে। ব্রিজটির দুই পাশে এলজিইডি রাস্তা করার কারণে দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বলে অনেকে মন্তব্য করেছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড নদী খনন করার কারণে ব্রিজটি ভেঙে পড়েছে। অপরিকল্পিত নির্মাণের কারণে ব্রিজটি ভেঙে পড়েছে। ভেঙে পড়ার পর দুই বছর পেরিয়ে গেলেও সংস্কারের কোনো উদ্যোগ হয়নি। ব্রিজটি নিয়ে দুর্ভোগের শেষ নেই। উৎপাদিত ফসল বা ব্যবসার মালামাল ভেঙে পড়া ব্রিজ দিয়ে পার করা যায় না। ব্রিজের কাছে এসে মালামাল নামিয়ে খালি ভ্যান পার করে মাথায় মালামাল পার করতে হয়। এর চেয়ে দুর্ভোগ হতে পারে না।
স্বাআলো/এসএস