সম্পাদকীয়: নীলফামারীতে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে শ্বাসরোধে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন আশিকুল মোল্লা বাবু নামের এক ব্যবসায়ী।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সদর উপজেলার দাড়োয়ানী বন্দরবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, আশিকুল মোল্লা বাবুর স্ত্রী তহুরা বেগম (৩০), তার বড় মেয়ে তানিয়া আক্তার (১১) ও ছোট মেয়ে জারিন আক্তার (৬)।
আশিকুল মোল্লা বাবুর ছোট ভাই জাকির হোসেন মোল্লা বলেন, সকালে গলাকাটা অবস্থায় হাঁটতে দেখে সবাই তাকে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। তিনি ব্যবসায় আর্থিকভাবে ক্ষতির শিকার হয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, এ কারণে এমন ঘটনা ঘটাতে পারে।
হত্যা ও আত্মহত্যা কোনোভাবেই ব্যক্তিগত নয়। আত্মার আত্মীয় আপনজন হলেও কাউকে হত্যা করা যাবে না। আত্মহত্যাও নিজস্ব ব্যাপার নয়। তাই হত্যা ও আত্মহত্যার চেষ্টা করে নিজেকে অপরাধী করলো নীলফামারীর আশিকুল মোল্লা বাবু।
হত্যা ও আত্মহত্যা অপরাধ বলে প্রচলিত আইনে এই অপরাধীকে সাজার মুখে পড়তে হয়। আর ইসলাম ধর্মে তো একটি বড় গোনাহ। এ ধর্মে বিশেষভাবে বলা হয়েছে যে হত্যা ও আত্মহত্যা করবে সে কবিরা গোনাহ অর্থাৎ বড় গোনাহের কাজ করবে। তাহলে আমাদের বুঝতে বাদ থাকছে না যে কোনোক্রমেই হত্যা ও আত্মহত্যা করা যাবে না।
নানাভাবে নানা কৌশলে তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে হত্যা ও আত্মহত্যা করার ভেতর কোনো কৃতিত্ব নেই।
এ ধরাধামে বেঁচে থেকে ঘাত-প্রতিঘাতের ভেতর দিকে এগোতে হবে। মানুষ হয়ে যখন জন্ম নেয়া হয়েছে তখন চলার পথ কোথাও কুসুমাস্তীর্ণ কোথাও কন্টকিত। কন্টকিত পথ চলতে গিয়ে এই যে অবস্থা তাতে জীবনের স্বাদ আছে, বৈচিত্র আছে। এভাবে জীবন না হলে তো সে জীবন মূল্যহীন হয়ে যায়।
নিত্যদিনকার হত্যা ও আত্মহত্যা প্রতিরোধে সামাজিকভাবে সকলকে সচেতন হতে হবে। সরকারি ও বেসরকারিসহ সব ধরনের প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসা উচিত।
স্বাআলো/এস