জেলা প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ: মিয়ানমার অনেক আগে থেকেই বাংলাদেশের সঙ্গে যুদ্ধের চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন র্যাব মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন।
তিনি বলেছেন, মিয়ানমার বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ঢোকানো থেকে শুরু করে তারা অনেকটা পায়ে পাড়া দিয়ে এ কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় মনোভাবের কারণে এটা থেকে রক্ষা পেয়েছি।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী এম এ খালেক ডিগ্রি কলেজ মাঠে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এম খুরশীদ হোসেন বলেন, মিয়ানমার যা করছে তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই করছে। এখন যুদ্ধে যাওয়া মানে দেশটা শেষ হয়ে যাওয়া। তারা আরাকান আর্মির সাথে যুদ্ধ চালাচ্ছে। তাই ওরা আমাদের সাথে ঝামেলা সৃষ্টি করে ফয়দা লুটতে চাচ্ছে।
তিনি বর্তমান প্রজন্ম সম্পর্কে বলেন, এই প্রজন্মকে বাঁচাতে হলে শুধু বই খাতা দিয়ে স্কুলে পাঠালে হবে না। বাস্তবতা কিন্তু এখন আর সেভাবে নেই। তাই বাচ্চাদের শৈশব থেকে নীতি-নৈতিকতা শেখাতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে পড়ে কিছুই শিখতে পারছে না। নীতি-নৈতিকতা পরিবার থেকেই শিখতে হয়। এ ক্ষেত্রে অভিভাবকদের মূল ভুমিকা রয়েছে, এরপর শিক্ষকদের।
দেশে অভিজ্ঞ লোকের অভাব রয়েছে উল্লেখ করে র্যাব ডিজি বলেন, দেশে বর্তমানে অভিজ্ঞ লোকের অভাব রয়েছে বলেই আমাদের প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। এখনকার প্রত্যেকটি ক্যাডারে মধ্যে পেশাদারিত্বের খুবই ঘাটতি রয়েছে। যেমন লেখাপড়ায় ঘাটতি রয়েছে, পেশাদারিত্বে ঘাটতি রয়েছে, শৃঙ্খলায় ঘাটতি রয়েছে। এটাকে আমাদের ওভারকাম করতে হলে এখন থেকে চেষ্টা করতে হবে। যাতে যুবসমাজ বা নতুন প্রজন্ম অবাধ্য হয়ে না যায়।
মাদক প্রসঙ্গে র্যাব ডিজি বলেন, মাদক বর্তমানে বাংলাদেশে স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে আসছে। মিয়ানমার উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমাদের দেশে অবৈধ পথে ইয়াবাসহ নানা ধরনের মাদক ঢোকাচ্ছে। এটা রাজনৈতিকভাবেই হচ্ছে। আমরা জাল ফেলে রেখেছি। মিয়ানমারের সবচেয়ে বড় গ্যাং স্টারকে আমাদের জালের ভেতর ফেলেছি। আমরা হয়তো কিছু করতে পারবো।
তিনি আরো বলেন, মাদক হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব্যবসা। রাতারাতি ধনী হওয়ার ব্যবসা। এটা জনপ্রতিনিধিসহ সবাই জানে। বিভিন্ন বাহিনীর মধ্যে মাদকসেবী ও ব্যবসায়ী রয়েছে। কোনো একক বাহিনীর পক্ষে মাদক নির্মূল করা সম্ভব না। মাদক নির্মূল করতে হলে সকলে মিলে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
শিক্ষকদের উদ্দেশে র্যাব ডিজি বলেন, আপনাদের মডেল হতে হবে। কারণ পরিবারের পরেই আপনারদের স্থান। আপনাদেরই সঠিক শিক্ষা দিতে হবে। আপনাদের সুযোগ-সুবিধা এখন একটু কম থাকলেও আগামীতে ঠিক হয়ে যাবে।
স্বাআলো/এস