জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, আমরা দেখতে পাই একজন মহান নেতা তার দেশের মানুষের জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন। তিনি যেদিন দেশে প্রত্যাবর্তন করেন, ঠিক তার পরের দিন তিনি সংবিধান তৈরির উদ্যোগ নেন। মাত্র তিন বছর তিনি দায়িত্বে ছিলেন। এতো অল্প সময়ে তিনি ১২০টি দেশের স্বীকৃতি আদায় করে নেন। সব কাজের ভেতর তিনি সংবিধানকেই সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়েছিলেন।
তিনি বলেছিলেন, ‘সংবিধান ছাড়া একটি রাষ্ট্র হালবিহীন নৌকার মতো। বঙ্গবন্ধু বলেছেন, এটা জনতার শাসনতন্ত্র।’
শনিবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলে জাতীয় সংবিধান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সংবিধানের বিভিন্ন বিষয় তৈরিতে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, বাংলার মাটি ও মানুষের নেতা ছিলেন বঙ্গবন্ধু। এদেশের মানুষের কি চাহিদা, কি দারিদ্র্য তাদের এসব কথাই তার বক্তৃতা, কথায় বারবার উঠে এসেছে। তার বক্তব্যের মূলনীতিগুলোই কিন্তু সংবিধান প্রস্তুতে উঠে এসেছে।
তিনি বলেন, আপনারা দেখবেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে তার পিতার জীবনদর্শনই উঠে এসেছে। আজকে নয় লাখ গৃহহীনকে ঘর করে দেয়া, ৩২ প্রকার ওষুধ বিনামূল্যে দেয়া হয়েছে, দুই কোটি মানুষকে টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড দেয়া হয়েছে। এ যে ব্যাপক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে, এসবই বঙ্গবন্ধুর দর্শনের ভিত্তিতে পরিচালিত হচ্ছে।
স্পিকার আরো বলেন, আমরা অনেক রক্তের বিনিময়ে এ সংবিধান পেয়েছি। আমরা রক্তের মাধ্যমে সংবিধান পেয়েছি। সে কারণেই এটি বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংবিধান। যা অন্যান্য সংবিধানের মতো নয়।
স্বাআলো/এস