আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের অগাধ ভালবাসা রয়েছে। আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে কোনো রাজনীতি হবে না। তাই বিএনপি-জামায়াতকে দেশবাসী চিরতরে বয়কট করেছে। সাধারণ মানুষের কাছে স্পষ্ট বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি মানেই ধ্বংসের লেলিহান সৃষ্টি করা। তাদের রাজনীতি মানেই লুটের পক্ষে, ধ্বংসযজ্ঞের পক্ষে, লাশের পক্ষে ও গণতন্ত্রের বিপক্ষে। বাংলার মানুষের ওই লুটেদের ক্ষমতায় বসাতে চায় না। ওদের প্রতিহত করবে। নতুন করে কোনো ষড়যন্ত্র করলে বিএনপি-জামায়াতকে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশবাসী ঐক্যবদ্ধ।
জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) যশোর শহরের দড়াটানা ভৈরব চত্ত্বরে খুনি জিয়া কর্তৃক সেনাবাহিনীর মুক্তিযোদ্ধা হত্যা দিবস ও বিএনপির আগুন সন্ত্রাস, পুলিশ হত্যা ও সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বিএনপি রাজনৈতিকভাবে বিপর্যস্থ। তাদের অবস্থান শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে। দেশবাসী তাদের পছন্দ করে না। দেশব্যাপী তারা লুটকারী, এতিমের অর্থ আত্মসাতকারী, দুর্নীতিবাজ, আগুন সন্ত্রাসীবাজ নামে সমাহিত হয়েছে। তাদের নাম উচ্চারিত হলেই দেশবাসী ঘৃণার সাথে স্মরণ করে। তাই বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ক্ষমতায় যেয়ে নিত্যনতুন ষড়যন্ত্র আঁটছে। মিথ্যাচারের রাজনীতি করছে। চক্রান্ত্র করে গণতন্ত্রের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তারা দেশে ধ্বংসলীলা করে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে ক্ষমতায় যেতে চায়। সেই সুযোগ কখনো দেয়া হবে না। ’৭৫ এ বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা, ৩ নভেম্বর জেল হত্যা ও ৭ নভেম্বর সেনাবাহিনীর মুক্তিযোদ্ধাদের সব একই সূত্রে গাঁথা। সব খুনি জিয়ার নেতৃত্বে হয়েছে। সব সময় দেশবাসীকে সজাগ থাকতে হবে খুনিদের কোনো সুযোগ দেয়া যাবে না।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজ্জামেল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন ও সদস্য নির্মল কুমার চ্যাটার্জী।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলনের সভাপতিত্বে এবং সংসদ সদস্য ও সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের সঞ্চালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার গণি খান পলাশ, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আলী রায়হান, সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান মিন্টু, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুল, জেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর শেখ জাহিদ হোসেন মিলন, লেবুতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলীমুজ্জামান মিলন, নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ, শহর আওয়ামী লীগ নেতা শাহজান কবির শিপলু প্রমুখ।
স্বাআলো/এসএ